অষ্টম শ্রেণির ১৫তম সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর

 অষ্টম শ্রেণির ১৫তম সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর

 

 

অষ্টম শ্রেণির ১৫তম সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর

 

উদ্দীপকে দুটি ক্ষেত্রে মোট তিনটি বস্তু ব্যবহৃত হয়েছে। বস্তুগুলো হলো কাগজ, ভারী বল, মুড়ানো গোল বলের মতো কাগজ। উপাদান সমূহ নিয়ে পরীক্ষা শুরু করলাম। 

সর্বপ্রথম আমি একটি উঁচু চেয়ারে দাঁড়িয়ে ১০ ফিট উচ্চতা থেকে বল ও কাগজটি ছেড়ে দিলাম। এতে দেখলাম বলটি দ্রুত পড়ে গেলেও কাগজটি ধীরে ধীরে কিছু সময় পর মাটিতে পৌঁছাতে সক্ষম হলো। একই ভাবে ভারী বলটি এবং মুড়ানো কাগজটি একসাথে ছেড়ে দিলাম। এতে৷ বলটি প্রথমবারের মতো মাটিতে পড়লেও মুড়ানো কাগজটি প্রথম কাগজ অপেক্ষা দ্রুত মাটিতে পৌঁছাতে সক্ষম হচ্ছে। 

তবে৷ এই ধরনের সময়ের পার্থক্যের কারণ বিশ্লেষণে দেখতে পাই, বাতাসের বাধা। আমরা জানি কোন বস্তুর উপর ক্রিয়াশীল অভিকর্ষজ ত্বরণ বস্তুর ভরের উপর নির্ভর করে না। তাই শুধুমাত্র বাতাসের বাধার কারণেই বস্তু দুইটির মাটিতে পৌঁছাতে ভিন্ন সময় লাগছে।

আমরা জানি, পৃথিবী এবং কোনো বস্তুর মধ্যে যে আকর্ষণ তাই অভিকর্ষ। আবার বল প্রয়োগে কোনো বস্তুর বেগের পরিবর্তনের হারকে ত্বরণ বলা হয়। আর অভিকর্ষ বলের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠে মুক্তভাবে পড়ন্ত কোন বস্তুর বেগ বৃদ্ধির হারকে অভিকর্ষজ ত্বরণ বলা হয়। যা g দ্বারা প্রকাশ করা হয়। তবে এক্ষেত্রে এক্ষেত্রে অভিকর্ষজ ত্বরণ ভরের উপর নির্ভরশীল নয়। ফলে ভর কোনরূপ প্রভাব বিস্তার করতে পারে না। কিন্তু দুটি বস্তুই তখন একই সময়ে পড়ার কথা থাকলেও বাতাস তাদের মাঝে বাধা সৃষ্টি করে। এতে তাদের মাটিতে পৌঁছানোর সময়ে পার্থক্য সৃষ্টি করে। কোন দ্রব্যের উপর অভিকর্ষ বলের পরিমান জানা যায় মহাকর্ষ সূত্র হতে।

বিজ্ঞানী নিউটন তার মহাকর্ষ বিষয়ক সূত্রে বলেছেন, মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তুকণা একে অপরকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে। এ আকর্ষণ বলের মান বস্তুকণাদ্বয়ের ভরের গুণফলের সমানুপাতিক এবং এদের দূরত্বের বর্গের ব্যস্তনুপাতিক এবং এ বল বস্তুকণাদ্বয়ের সংযোজক সরলরেখা বরাবর ক্রিয়া করে। 

অর্থাৎ, 

 F=

যেখানে, F = আকর্ষণ বল,

           G = সমানুপাতিক ধ্রুবক,

           m1, m2 = দুটি বস্তু, 

           d = দূরত্ব। 

একইভাবে, 

 অভিকর্ষ বল = ভর × অভিকর্ষজ ত্বরণ

অর্থাৎ, 

           F = mg

যেখানে,

           F = অভিকর্ষ বল, 

           m = ভর,

           g = অভিকর্ষজ ত্বরণ।

এভাবে আমরা কোন বস্তুর উপর অভিকর্ষ বলের মাত্রা নির্ধারণ করতে পারি। আর প্রকৃতিতে বাতাসের বাধা না থাকলে যেকোন ভরের বস্তু একই সময়ে মাটিতে পৌঁছাতো, কেননা প্রত্যেক বস্তুর উপর ক্রিয়াশীল অভিকর্ষজ বলের মান একই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *