আগামী ৬ জুন থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা
চলতি মাসের মধ্যে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হলে আগামী ৬ জুন থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা হয়েছে।
কলেজে ভর্তির কাজটি এবারও তিন ধাপে শেষ করা হবে জানিয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক হারুন-আর-রশিদ বলছেন, এবার ভর্তি প্রক্রিয়ায় সময় কিছুটা কমে আসতে পারে।
গত বেশ কয়েক বছর ধরে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কেন্দ্রীয়ভাবে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম সম্পন্ন করে আসছে।
কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল সময়মত ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। তবে মে মাসের মধ্যে এই পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হবে বলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি জানিয়েছে।
এবার গত ১০ মে থেকে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর সব ধরনের প্রস্তুতি থাকলেও মাধ্যমিকের ফল ঝুলে যাওয়ায় কলেজে ভর্তির নীতিমালাই জারি করা হয়নি।
অধ্যাপক হারুন মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ মাসে এসএসসির ফল ঘোষণা করা হলে জুনের শুরুতে কলেজে ভর্তির শিডিউল ঘোষণা করা হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আমরা ৬ জুন থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করতে চাই।
“অন্যবারের মত এবারও তিনধাপে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। তবে সময় কিছুটা কমিয়ে আনার চেষ্টা করব।”
শিক্ষার্থীরা বাড়িতে বসে অনলাইনেই কলেজে ভর্তির আবেদন জমা দেওয়াসহ অন্যান্য কাজ সারতে পারবে। তবে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে একটা পর্যায়ে তাদের কলেজে যেতেই হবে।
এ বিষয়ে অধ্যাপক হারুন বলেন, পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকলে সেটা তো আর সম্ভব হবে না। সেজন্য অন্যবার ১ জুলাই থেকে একাদশে ক্লাস শুরু হলেও এবার তা সম্ভব হবে না বলেই মনে করছি।”
একাদশে ভর্তির জন্য নীতিমালা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ১০ মে থেকে আবেদন নেওয়া শুরুর পরিকল্পনা থাকলেও মহামারীর কারণে এবার সময়সূচি ঘোষণা করা হয়নি।
এসএসসির ফল ঘোষণার পর মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে কলেজে ভর্তির সূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান অধ্যাপক হারুন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, গত কয়েক বছরের মত এবারও মাধ্যমিকের ফলাফলের ভিত্তিতে একাদশ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
এবারও সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইনে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে। নির্ধারিত ওয়েবসাইট থেকে ভর্তির আবেদন করা যাবে। একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে আবেদন করতে পারবেন।
একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবেন তার মধ্য থেকে তার মেধা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি মাত্র কলেজে তাকে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে।
সূত্র – bdnews24