ষষ্ঠ শ্রেণির ১৫তম সপ্তাহের কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর
ষষ্ঠ শ্রেণির ১৫তম সপ্তাহের কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট
ষষ্ঠ শ্রেণির ১৫তম সপ্তাহের কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর
আমার পরিবারের কায়িকশ্রম ও মেধাশ্রমের একটি তালিকা নিম্নে প্রস্তুত করা হলো-
কায়িকশ্রম |
মেধাশ্রম |
১) মায়ের খাদ্য প্রস্তুত করা, ঘর গোছানো, ঘর পরিষ্কার করা ইত্যাদি। |
১) ঘরের নানা জিনিস নিয়ে মায়ের চিন্তা। |
২) বাবার গাড়ি পরিষ্কার করা এবং চালানো। |
২) বাবার কলেজে শিক্ষার্থীদের পড়ানো। |
৩) আমার পায়ে হেঁটে বিদ্যালয়ে যাওয়া। |
৩) বিদ্যালয়ে স্যারের ক্লাস করা। |
৪) আমার বোন মাকে সাহায্য করা। |
৪) বোনের কম্পিউটারে প্রোগ্রামিং। |
৫) আমার কোচ হতে খেলার প্রশিক্ষণ নেওয়া। |
৫) আমার বিজ্ঞান বিষয়ক নানা ভিডিও তৈরি করা। |
কায়িকশ্রম ও মেধাশ্রমের মধ্যে আমি মেধাশ্রমকে অধিক গুরুত্ব প্রদান করব।
আধুনিক এই সভ্যতার অগ্রসরতা ও উন্নয়নে শতাব্দীর পর শতাব্দী অবদান রেখে চলেছে কায়িকশ্রম ও মেধাশ্রম। এর মধ্যে কায়িক ও মেধাশ্রম উভয়ই সমানতালে অবদানের কোটা পূরণ করেছে। কিন্তু বর্তমানে যে আধুনিক যুগে পৃথিবী পদার্পণ করেছে তার মধ্যে মেধাশ্রম সাম্রাজ্য বিস্তার করে চলেছে। তবে এক্ষেত্রে কায়িক শ্রমের অবদান অস্বীকার করা সম্ভব হবে না। পৃথিবীতে এই পর্যন্ত কায়িক শ্রমের যত উদাহরণ আছে তার পিছনে কাজ করেছে মেধা শ্রম। তাই আমার কাছে মেধা শ্রম বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বর্তমান সময়ে আমরা যে সহজ, আরামদায়ক জীবন যাপন করছি তার পেছনে কাজ করছে মেধাশ্রম। মেধাশ্রমের ফলে তৈরি কোন উদ্ভাবনকে কায়িক শ্রমের মাধ্যমে বাস্তবে রূপ দিয়ে আমাদের সভ্যতার উন্নতি ঘটছে। সেই সাথে আমাদের প্রথাগত জীবন আরো গতিশীল করেছে মেধাশ্রম। আগে যে কাজ কায়িক শ্রম দিয়ে করতে হতো তা এখন মেধাশ্রমের উৎকৃষ্ট উদ্ভাবনের মাধ্যমে খুব সহজসাধ্য হয়ে গিয়েছে যা আমাদের সময় ও পরিশ্রম সাশ্রয় করছে। এবং সময় ও পরিশ্রম সাশ্রয় হওয়ার ফলে আমরা আমাদের মেধা আরো উন্নত কাজে ব্যবহার করতে পারছি। তবে মেধাশ্রমের পাশাপাশি কায়িক শ্রমও প্রয়োজনীয়। দুটোরই সুষ্ঠু প্রয়োগের ফলে কাঙ্খিত উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য পূরণ হবে। অন্যথায় সভ্যতার যাত্রা থমকে দাঁড়াতো।