৬ষ্ট শ্রেণীর ৪র্থ সাপ্তাহের এসাইনমেন্ট বিজ্ঞান এর উত্তর Class 6 science 4th week assignment solution

Class 6 science 4th week assignment solution 

৬ষ্ট শ্রেণীর ৪র্থ সাপ্তাহের এসাইনমেন্ট বিজ্ঞান এর উত্তর নিচে দেওয়া হল


ক) বিদ্যুৎ পরিবাহী ও অপরিবাহী পদার্থের নাম লিখ।

“ক” নং প্রশ্নের উত্তর

বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থ: সাধারণত ধাতু সমূহই বিদ্যুৎ পরিবাহী পদার্থ।

যেমন: 

  • তামার তার
  • রূপা
  • সােনা
  • অ্যালুমিনিয়াম
  • পারদ,  ইত্যাদি।

বিদ্যু অপরিবাহ পদার্থ: সকল অধাতুর বিদ্যুৎ অপরিবাহী বা বিদ্যুৎ কুপরিবাহী পদার্থ।

যেমন:

  • কাঠের টুকরা
  • প্লাষ্টিক
  • কাঁচ
  • পলিথিন
  • রাবার,  ইত্যাদি।


খ) বিদ্যুৎ পরিবহনে তামার তার ব্যবহারের কারণ কী?

‘খ’ নং প্রশ্নের উত্তর

বিদ্যুৎ পরিবহনে তামার তার ব্যবহারের কারণ: –  তামা সহ আরও অনেক ধাতু আছে যেগুলাে বিদ্যুৎ সুপরিবাহী। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিদ্যুৎ পরিবহনে তামার তার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তার নির্দিষ্ট কিছু কারণ আছে। নিম্নে তা উল্লেখ করা হলোঃ

  • তামা বিদ্যুৎ সুপরিবাহ।
  • তামা দামে সস্তা।
  • তামা সহজলভ্য।
  • তামা সহজে কাটা যায় বা জোড়া লাগানাে যায়।

তামা ছাড়াও অ্যালুমিনিয়াম বিদ্যুৎ সুপরিবাহী কিন্তু তাতে অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইড তৈরি হয় যা পরবর্তীতে বিদ্যুৎ প্রবাহে বাঁধা দেয়। রূপাও বিদ্যুৎ সুপরিবাহী কিন্তু তা অনেক দামী। স্টিল অনেক শক্তিশালী কিন্তু এর বিদ্যুৎ পরিবাহীতা কম। তাই সবদিক থেকে বিচার করলে বৈদ্যুতিক তারে তামার ব্যবহারই সুবিধাজনক।

গ) উদ্দীপকের ১ম চিত্রে মােম গলে পড়ার পরবর্তী অবস্থা ব্যাখ্যা কর।

“গ” নং প্রশ্নের উত্তর

উদ্দীপকের ১ম চিত্রে মােম গলে পড়ার পরবর্তী অবস্থা ব্যাখ্যা: মােমবাতি জ্বালানাে হলে মােমবাতির একটি অংশ পুড়ে আলাে দেয় আর আরেকটি অংশ আগুনে গলে মােমবাতির গা বেয়ে পড়তে থাকে, যা কিছুক্ষণ পর আবার জমে কঠিন মােমে পরিণত হয়। তরল মােম থেকে কঠিন মােম হওয়ার প্রক্রিয়া হলাে শীতলীকরণ। শুধু মােম নয় মােমের ন্যায় প্রতিটি তরল পদার্থের ক্ষেত্রেই এমনটি হতে পারে।

ঘ) চিত্রের পদার্থ দুটির গলনাংক ও হিমাংক কি একই? পাঠ্যপুস্তকের আলােকে বিশ্লেষণ কর।

“ঘ” নং প্রশ্নের উত্তর

“চিত্রের পদার্থ দুটির গলনাংক ও হিমাংক একই কিনা।

বিশ্লেষণঃ– ৫৭ ডিগ্রী সেলসিয়াসই হলাে মােমের হিমাংক। কেননা ৫৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মােম জ্বলতে শুরু করে। আবার মােমের গলনাংকও হয় ৫৭ ডিগ্রী তাপমাত্রায়। অথ্যাৎ একই বস্তুর গলনাংক এবং হিমাংক একই৷ কিন্তু পানির হিমাংক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাহলে পানির গলনাংকও কিন্তু শূন্য ডিগ্রী সেলিসিয়াস। কোন একটি বস্তুর তাপমাত্রা যদি হিমাংকের উপরে থাকে এবং তা পরিপার্শ্বিক তাপমাত্রার চেয়ে বেশি হয়, তবে পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রায় বস্তুটিকে রেখে দিলে তা ধীরে ধীরে তাপ হারাতে থাকে। ফলে এর তাপমাত্রা কমতে থাকে। এবং তাপমাত্রা যখন হিমাংক চলে আসে তখন এটি কঠিনে পরিণত হয়।

মন্তব্য: – একই বস্তুর গলনাংক এবং হিমাংক একই হ্যা, কিন্তু উদ্দীপকের বস্তু দুইটি আলাদা। তাই বস্তু দুইটির হিমাংক ও গলনাংক একে অন্যটির থেকে আলাদা। যেমন আমরা দেখেছি যে মােমের গলনাংক এবং হিমাংক ৫৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস সেখানে পানির গলনাংক এবং হিমাংকের তাপমাত্রা শূন্য (০) ডিগ্রী সেলসিয়াস। সুতরাং উদ্দীপকের বস্তু দুইটির গলনাংক এবং হিমাংক আলাদা।


2 thoughts on “৬ষ্ট শ্রেণীর ৪র্থ সাপ্তাহের এসাইনমেন্ট বিজ্ঞান এর উত্তর Class 6 science 4th week assignment solution

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *