Class 6 Assignment solution 4th week Bangladesh and Global studies | ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ৪র্থ সাপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের এস্যাইনমেন্ট এর সমাধান

৬ষ্ঠ শ্রেণীর ৪র্থ সাপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের এস্যাইনমেন্ট এর সমাধান নিচে দেওয়া হল।



তােমার পরিবারের সদস্যদের কোন কোন কাজ টেকসই উন্নয়নের অন্তরায় তা চিহ্নিত করে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন কর।


প্রতিবেদনটি কিছু নির্ধারিত বিষয়েও ওপর ভিত্তি করে লিখতে হবে। তাছাড়া প্রতিবেদনে যা যা থাকতে হবে তা নিচে দেওয়া হলো। এইগুলো ছাড়াও যদি ইচ্ছে হয় তাহলে আপনি নিজের থেকে বানিয়ে লিখতে পারবেন। এত আপনার সৃজনশীল জ্ঞান বৃদ্ধি পাবে।

  • ভুমিকা
  • টেকসই উন্নয়ন কি
  • টেকসই উন্নয়নের অন্তরায় আচরণসমূহ
  • পরিবারের সদস্যদের আচরণ
  • ব্যক্তিগত মতামত
  • উপসংহার

যেসকল বিষয়ের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে।

  • বিষয়বস্তুগত জ্ঞান
  • নির্ভুল তথ্য ও যুক্তিসম্মত ব্যাখ্যা প্রদান
  • প্রশ্নের চাহিদা অনুযায়ী ধারাবাহিক উত্তর প্রদান
  • ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার সমন্বয়
  • সৃজনশীল ব্যাখ্যা প্রদান
  • সমস্যা চিহ্নিতকরণ



উত্তর শুরু হলো 


টেকসই উন্নয়ন প্রতিবেদন

 

ভুমিকা


একটি নীতি বাক্য রয়েছে ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবাই জ্ঞানীর কাজ। পৃথিবী নামক গ্রহে আমরা বসবাস করছি । পৃথিবীতে জীবনধারণের জন্য আমরা নানা উপকরণ যেমন, অক্সিজেন, পানি, মাটি, আশ্রয়স্থল ব্যবহার করছি। শুধু তাই নয় আমরা গাছের ছায়া ও মনোরম আবহাওয়া আমরা উপভোগ করি। টেকসই উন্নয়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারব। তাই মানব জীবনের টেকসই উন্নয়নের গুরুত্ব অপরিসীম।


টেকসই উন্নয়ন কি?


টেকসই উন্নয়ন এর ইংরেজী প্রতিশব্দ হলো Sustainable Development Goals । টেকসই উন্নয়ন এমন একটি উন্নয়ন প্রক্রিয়া যা ভবিষ্যতের কথা ভেবে করা হয়। ফলে প্রকৃতিতে ঠিক রেখে উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পাদন করা হয় ।যেমন, একদিকে মানুষের বর্তমান চাহিদা মেটাতে সক্ষম অন্যদিকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে ঘাটতি কারণ হয়ে দাঁড়াবে না। যেমন ফসলি জমির জন্য ক্ষতিকর কোন কীটনাশক ব্যবহার না করে উৎপাদন বাড়ানো পরিবেশ বান্ধব কৃষি কার্যক্রম ও বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রাকৃতিক সম্পদ অক্ষুন্ন রাখতে সাহায্য করে। মানুষের নিরাপত্তা বিধান সম্ভব হয় আমরা এমন টেকসই উন্নয়ন যেন দিতে পারি।


টেকসই উন্নয়নের অন্তরায় আচরণসমূহ


  1. সর্বত্র সব ধরনের দারিদ্র্যের অবসান।
  2. ক্ষুধার অবসান খাদ্য নিরাপত্তা ও উন্নত পুষ্টিমান অর্জন ও টেকসই কৃষি প্রসার।
  3. সকল বয়সী সকল মানুষের জন্য সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ নিশ্চিত করা।
  4. সকলের জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতার ভিত্তিতে গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষা লাভের সুযোগ সৃষ্টি।
  5. জেন্ডার সমতা অর্জন এবং সকল নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়ন।
  6. সকলের জন্য পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন এর টেকসই ব্যবস্থাপনা ও প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা।
  7. সকলের জন্য পূর্ণাঙ্গ সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য ও টেকসই আধুনিক জার্মানির সহজলভ্য করা।
  8. সকলের জন্য পূর্ণাঙ্গ ও উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান এবং শোভন কর্মসূচি সৃষ্টি এবং স্থিতিশীল অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন।
  9. অভিঘাত সহনশীল অবকাঠামো নির্মাণ অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই শিল্পায়নের প্রবর্তন এবং উদ্ভাবনের প্রসার
  10. অন্তও আন্তঃদেশীয় অসমতা কমিয়ে আনা।
  11. অন্তর্ভুক্তিমূলক নিরাপদ অভিঘাত সহনশীল এবং টেকসই নগর ও জনশক্তি গড়ে তোলা।
  12. পরিমিত ভোগ ও টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করা
  13. জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব মোকাবেলায় জরুরি কর্ম ব্যবস্থা গ্রহণ।
  14. টেকসই উন্নয়নের জন্য সাগর মহাসাগর ও সামুদ্রিক সম্পদের সংরক্ষণ ও টেকসই ব্যবহার।
  15. স্থলজ বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ও সুরক্ষা প্রদান এবং টেকসই ব্যবহারের পৃষ্ঠপোষক টেকসই বন ব্যবস্থাপনা মরুকরণ প্রক্রিয়া ভূমি ও ভূমি সৃষ্টি প্রক্রিয়ার পুনরুজ্জীবন এবং জীব বৈচিত রক্ষা করা
  16. টেকসই উন্নয়নের জন্য শান্তিপূর্ণ অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ব্যবস্থার প্রচলন সকলের জন্য ন্যায় বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম করা।


পরিবারের সদস্যদের আচরণ


দারিদ্রতা ও পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে স্কুলে পাঠানোর পরিবর্তে কাজে পাঠাতে বাধ্য হয়। মা বাবা অসুস্থ হলে কিংবা তাদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটলে অনেক সময় শিশুরা অর্থ উপার্জনে বাধ্য হয়। অভিভাবকদের বৈষম্যমূলক আচরণের কারণে অনেক সময় শিশুদের শ্রমিকে পরিণত করে। শিশুদের প্রতি নির্যাতন এবং অত্যাচারও এক্ষেত্রে নেতিবাচক ভূমিকা পালন করে।


ব্যক্তিগত মতামত


সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়া  শিশুকে সামাজিক মানুষে পরিণত করে। সুস্থ ও সুন্দর ভাবে বিকশিত হতেও যোগ্য নাগরিক হিসেবে  গড়ে উঠতে সহায়তা করে। শিশুকে সমাজের দ্বায়িত্বশীল সদস্য এ পরিণত হতে এবং সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়তা করে। তাই আমাদের সামাজিকীকরণে বিকাশ ঘটাতে হবে। শিশু হিসেবে আমাদের জীবনের জন্য ক্ষতিকর ঝুঁকিপূর্ণ শ্রম থেকে নিজেদের বিরত রাখবো এবং অন্যদেরও বিরত রাখতে সহায়তা করবো। 

 

উপসংহার


শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে আমাদের সরকার কাজ করছে। নির্যাতনের শিকার শিশুদের আইনি সহায়তা, চিকিৎসা সেবা, পরামর্শ সেবা প্রদান করছে। তবে শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সামাজিক মূল্যবোধের উন্নয়ন জরুরী। তবেই টেকসই উন্নয়নের প্রসার ঘটতে পারে। 




আশাকরছি তোমরা এই পোষ্টটি ভালো করে বুঝতে পেরেছো, কোনো কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। ধন্যবাদ সবাইকে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *