Class 6 Bangla Assignment 1st Week 2022 | ৬ষ্ট শ্রেণীর বাংলা এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২
এসাইনমেন্ট এর সমাধান ২০২২
(প্রথম সপ্তাহ)
শ্রেণি: ষন্ঠ
বিষয়: বাংলা
এসাইনমেন্ট এর শিরোনাম: বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের প্রতি আমাদের করণীয়
১. প্রতিবন্ধিতার ধারণা
প্রতিবন্ধী অর্থ এমন এক ব্যক্তি যিনি জন্মগতভাবে বা রোগাক্রান্ত হয়ে বা দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বা অপচিকিৎসায় বা অন্য কোনো কারণে দৈহিকভাবে বিকলাঙ্গ বা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন এবং উক্তরুপ বৈকল্য বা ভারসাম্যহীনতার ফলে স্থায়ীভাবে আংশিক বা সম্পূর্ণ কর্মক্ষমতাহীন এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনে অক্ষম’।
প্রতিবন্ধিতার প্রকারভেদ বিভিন্ন ভিত্তিতে করা হয়ে থাকে। যেমন:
কখন শুরু হয়েছে তার ভিত্তিতে –
প্রাথমিক প্রতিবন্ধিতা: বিভিন ধরনের প্রতিবন্ধীত্ব নিয়ে জন্মগ্রহণ করলে তাকে প্রাথমিক প্রতিবন্ধীতা বলা হয়।
পরবতী বা অর্জিত প্রতিবন্ধিতা: জন্মের পরে বিভিন্ন কারণে প্রতিবন্ধিত্ব বরন করে থাকলে থাকে পরবতী বা অর্জিত প্রতিবন্ধিতা বলা হয়।
কোন অঙ্গ আক্রান্ত হয়েছে তার ভিত্তিতে –
- শারীরিক প্রতিবন্ধি
- দৃষ্টি প্রতিবন্ধি
- শ্রবন প্রতিবন্ধি
- বাক প্রতিবন্ধি
- বুদ্ধি প্রতিবন্ধি
- বহুবিধ প্রতিবন্ধি
২. আমার পারা এবং না পারা কাজের তালিকা
আমি যা পারি | আমি যা পারি না
|
আমি হাঁটতে পারি
গান গাইতে পারি নাচতে পারি পড়তে পারি সাইকেল চালাতে পারি খেলাধুলা করতে পারি ছবি আকতে পারি |
আমি ইংরেজীতে কথা বলতে পারি না।
মোটরসাইকেল চালাতে পারি না গিটার বাজাতে পারি না মাটির পুতুল বানাতে পারি না ঘুড়ি বানাতে পারি না
|
৩. বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর অসুবিধা
আমাদের আশেপাশে এরকম অনেক শিশু দেখা যায় যারা স্বাভাবিক শিশুদের মত হয়না। তাদের আচার-আচরণ ও দৈহিক গঠন স্বাভাবিকের তুলনায় ধীর এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ সমস্যাগ্রস্থ।
- এদের মধ্যে অনেকেই আছে যারা ভালোভাবে চোখে দেখতে পায় না।
- কারো কারো হাঁটাচলা করতে অসুবিধা হয়।
- কিছু শিশু আছে যারা ঠিকমত কথা বলতে পারে না।
- আবার অনেকেই আছে যারা অন্যের কথা শুনতে পায় না।
- আবার কেউ কেউ আছে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী যারা অনেক বড় হয়েও ছোটদের মতো আচরণ করে।
উপরে উল্লেখিত শিশুদেরকে আমরা প্রতিবন্ধী বা বিশেষ সুবিধা সম্পন্ন শিশু বলে থাকি।
আমাদের আশপাশে থাকা এসকল বিশেষ সুবিধা সম্পন্ন বা প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য আমাদের অবশ্যই কোন না কোন দায়িত্ব পালন করা উচিত।
৪. প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য আমরা যা করতে পারি
- বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করতে পারি।
- বিভিন্ন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এর মাধ্যমে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারে।
- সব সময় উৎসাহ এবং সঙ্গ দিয়ে তাদের আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলতে পারি।
- বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে তাদেরকে সঙ্গ দিতে পারি।
- প্রতিবন্ধকতার ধরন অনুযায়ী প্রতিবন্ধী শিশুদের বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারি। যেমন- গান বলা, গল্প শোনানো সহ অন্যান্য খেলা যেগুলোতে তারা অংশগ্রহণ করতে পারে।
- বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে নানাভাবে তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারি।
- বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সাথে পরিবারের একটি সুন্দর সুসম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করতে পারি।
- এভাবে আমরা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সঙ্গে এবং তাদের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করে তাদেরকে সমাজের জনসম্পদে পরিণত করতে পারি।
এছাড়াও আমরা যা করতে পারি –
শিক্ষার ব্যবস্থা: বাংলাদেশে ৯৭% শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও মোট প্রতিবন্ধী শিশুদের মাত্র ১১% স্কুলে ভর্তির সুযোগ পায়। যা সময়ের প্রেক্ষাপটে খুবই নগণ্য। এ জন্য প্রতিবন্ধীদের প্রতিবন্ধীতার ভিত্তিতে শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
চলার পথে সহায়তা করা: আমাদের চলার পথে বিভিন্ন প্রতিবন্ধী দেখতে পাই। দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদেরকে ধরে বা অন্যভাবে সহযোগিতা করা আমাদের সামাজিক দায়িত্ব।
স্বীকৃতিদান: প্রতিবন্ধীদেরকে সমাজের অংশ হিসেবে মেনে নিতে হবে। সামগ্রিক সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে প্রতিবন্ধীদের স্বীকৃতি দিতে হবে। সমাজের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা ভোগের ক্ষেত্রে তাদেরকে গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে তাদেরকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।