Finance And Banking SSC 2021 Assignment All Answer | SSC 2021 Assignment Answer with PDF

 SSC 2021 Finance And Banking Assignment 

Dear student,  hope you have started preparing your SSC 2021 Finance And Banking Assignment Answer. We are also preparing SSC Finance And Banking Assignment 2021 Answer. Hopefully, we can create a nice assignment solution on Finance And Banking if we combine it with each other.

Finance And Banking subject has been included in your 1st assignment. You have to do a total of eight Finance And Banking assignments. You will be assessed and numbered by solving this assignment. Assignment Marks, MCQ Results will be made on the basis of SSC 2021 Finance And Banking Result. Also if it is not possible to take the exam, then only the number of this assignment will be the Marks of Finance And Banking Subject in your SSC exam. So your assignment has to be creative and accurate

‘Your Finance And Banking assignment has been prepared according to the short syllabus. Your SSC exam will be conducted according to this short syllabus. However, it will be in MCQ method. The Assignment Marks will be 50 and the MCQ Marks will be 50.

SSC 2021 Finance And Banking Assignment 1st Week

SSC 2021 Finance And Banking Assignment Answer 1st Week

অর্থায়ন মূলত অর্থ বা তহবিল ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করে থাকে। কোন উৎস হতে কী পরিমাণ, কতটুকু তহবিল সংগ্রহ করে, কোথায় কীভাবে বিনিয়োগ করা হলে কারবারে সর্বোচ্চ মুনাফা হবে, অর্থায়ন সেই সংক্রান্ত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে।

একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে মালামাল বা পণ্য ক্রয়বিক্রয় থেকে অর্থের আগমন ও নির্গমন হয়। কারবারে মালামাল প্রস্তুত ও ক্রয় করার জন্য বিভিন্ন ধরনের তহবিলের প্রয়োজন হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় – মেশিন ক্রয় বাবদ খরচ, কাঁচামাল ক্রয় বাবদ খরচ, শ্রমিকদের মজুরী প্রদান ইত্যাদি অর্থ্যায়নের উল্লেখ্যযোগ্য কয়েকটি উদাহরণ।

তহবিলের এই প্রয়োজন অনুযায়ী পরিকল্পনা মাফিক তহবিল সংগ্রহ করতে হয়, যেন উৎপাদন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে। অর্থায়ন বলতে তহবিল সংগ্রহ ও ব্যবহার সংক্রান্ত এই প্রক্রিয়াগুলোকেই বুবায়। যেমন- আমাদের গ্রামে কোন দর্জির দোকানে গেলে দেখতে পাই যে, একজন বা দুজন সেলাই মেশিনে কাপড় সেলাই করছে। আবার কেউ কাপড় কাটছে বা বোতাম সেলাই করছে। ফলে একটি দর্জির দোকানের মালিককে তার এই কাযপ্রক্রিয়া সঠিকভাবে চালিয়ে নিতে সেলাই মেশিন ক্রয়, সুতা, বোতাম, কাঁচি ইত্যাদি প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও উপকরণ পরিমাণমতো ক্রয় করতে হয়। ব্যবসার শুরুতে সাধারণত এসব ক্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সে তার নিজস্ব মূলধন ব্যবহার করে নির্বাহ করে। পরিশেষে বলা যায় যে, একটি অর্থায়ন ব্যবস্থাপনা হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা কোন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের আর্থিক তহবিলের সামগ্রিক কার্য প্রক্রিয়ার একটি অন্যতম ধাপ।

আজকালকার দিনের প্রতিযোগিতামূলক মুক্তবাজারের ব্যবস্থায় মুনাফা অর্জনের জন্য প্রতিটি সরকারি, বেসরকারি, আন্তর্ভাতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বের সাথে পূর্ব-পরিকল্পনা মাফিক অর্থায়ন করতে হয়। নিচে কারবারি অর্থায়নের গুরুত্ব তুলে ধরা হলো।

১) ব্যবসায়িক মূলধন-সংকট:

বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ বলে আর্থিক সংকট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। এই সংকটের জন্য কারবারী প্রতিষ্ঠান সুচারুরূপে পরিচালনা করা একটি কঠিন কাজ। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে, একটি প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল কেনার প্রয়োজন। কিন্তু অর্থসংকটের জন্য সে যদি যথাসময়ে উপযুক্ত পরিমাণে কাঁচামাল কিনতে অপারগ হয়, তাহলে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।

২) অনগ্রসর ব্যাংকিং ব্যবস্থা:

অনেক সময ব্যাংক ঋণের বিপরীতে যে সম্পত্তি বন্ধক রাখতে হয়, তার অপ্রতুলতার কারণে ব্যাংক ঝণ উপযুক্ত সময়ে ও যথার্থ পরিমাণে পাওয়া যায় না। 

ফলে ব্যবসায়ীদের অর্থসংকট সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য খুবই পরিকল্পিতভাবে অর্থের সংস্থান করতে হয় এবং সঠিক বিনিয়োগ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অর্থের লাভজনক ব্যবহার প্রয়োজন হয়।

ও) স্বল্প শিক্ষিত উদ্যোক্তা:

বাংলাদেশের বেশির ভাগ ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা স্বল্প শিক্ষিত। ফলে তারা একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে অর্থায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে না। এতে করে অনেক লাভজনক প্রতিষ্ঠান উপযুক্ত আর্থিক পরিকল্পনার অভাবে আর্থিক সংকটে সুষ্ঠভাবে চলতে পারে না এবং অবশেষে লাভের বদলে ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

8) উৎপাদনমুখী বিনিয়োগ ও জাতীয় আয়:

একটি সফল বিনিয়োগ জাতীয় আয় বৃদ্ধিতে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখে। অর্থায়ন বিষয়ক জ্ঞানের প্রয়োগে একজন ব্যবসায়ী বিনিযোগের বিভিন্ন প্রকল্পগুলোর মধ্যে ভবিষ্যৎ আয়-ব্যয়ের সম্ভাব্যতা বিশ্লেষণ করে সবচেয়ে লাভজনক প্রকল্পটি বেছে নিতে পারেন। এই ধরনের লাভজনক বিনিয়োগ কারবারটির জন্য যেমন অর্থবহ, তেমনি সারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যও বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। পরিশেষে বলা যায় যে, 

উপরোক্ত বিষয়গুলো কারবারি অর্থায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আয় সিদ্ধান্ত বা অর্থায়ন সিদ্ধান্ত ও ব্যয় সিদ্ধান্ত বা বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত আর্থিক ব্যবস্থাপকের জন্য সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ । এছাড়া আর্থিক ব্যবস্থাপককে আরো কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়, যেমন-

ক) কী পরিমাণে কাঁচামাল ক্রয় বা প্রতিষ্ঠানের জন্য উপযোগি এবং সেই অর্থ কোথা থেকে সংগ্রহ করা যাবে- এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তকে চলতি বিয়োগ সিদ্ধান্ত বলে।

খ) দৈনন্দিন প্রয়োজন নির্বাহ করার জন্য কী পরিমাণ নগদ অর্থ রাখা উচিত, সেটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।

গ) যেসব উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহ করা হয়েছে, তাদের প্রাপ্য প্রদান করা আরেকটি সিদ্ধান্ত।

ব্যাংক খণ ও অন্যান্য খাণ যেমন- বন্ড, ডিবেঞ্চার ইত্যাদির মাধ্যমে তহবিল সংগৃহিত হলে যথাসময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ সুদ প্রদান করার সিদ্ধান্ত আর্থিক ব্যবস্থাপকের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। একইভাবে শেয়ার বিভ্রয়ের মাধ্যমে সংগৃহীত তহবিলের ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত হারে মুনাফা অর্জন ও লভ্যাংশবন্টন ও আর্থিক ব্যবস্থাপকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয়।


ব্যবসায় বিভাগের সকল বিষয়ের সব এসাইনমেন্ট এর সমাধান দেখতে ক্লিক করুন

Assignment Answer More Subject

SSC 2021 Finance And Banking Assignment 3rd Week

SSC 2021 Finance And Banking 3rd Week Assignment Solution  

অর্থের সময় মূল্যের ধারণা:
ফিন্যান্সের দৃষ্টিতে সময়ের সাথে সাথে অর্থের মূল্য পরিবর্তিত হয় অর্থাৎ এখনকার ১০০ টাকা আর পাঁচ  বছর পরের ১০০ টাকা সমান মূল্য বহন করে না, এখনকার ১০০ টাকা অধিকতর মূল্যবান। এটাই অর্থের সময়মূল্য ধারণা । অর্থের সময়মূল্যের মূল কারণ সুদের হার ।

মনে করি, আমি আমার বন্ধুর কাছে ১০০ টাকা পাই, এমতাবস্থায় সে বলল ১০০ টাকা এখন না পরিশোধ করে বছর পর পরিশোধ করবে। অর্থের সময়মূল্য বলে যে এখনকার ১০০ টাকা এবং আগামী বছরের ১১০ টাকা অর্থের সময়মূল্য অনুযায়ী সমান মুল্য বহন করে।


অর্থের ভবিষ্যৎ মূল্য ও চক্রবৃদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া:

বর্তমান মূল্য জানা থাকে ১নং সূত্র ব্যবহার করে ভবিষ্যৎ মূল্য বের করা যায়।

সূত্র: ১: ভবিষ্যৎ মূল্য (FV) = বর্তমান মূল্য (১+ সুদের হার) বাৎসরিক মেয়াদ
এখানে (FV) হচ্ছে Future Value


ভবিষ্যৎ মূল্য নির্ধারণের জন্য উপরিউক্ত উদাহরণে যে প্রক্রিয়াটি ব্যবহৃত হয়েছে, তাকে বলা হয় চক্রবৃদ্ধিকরণ পদ্ধতি। এখানে লক্ষণীয় যে এক বছর পরে ১১০ টাকা ভবিষ্যৎ মূল্যের মধ্যে আসল ১০০ টাকা ও সুদ ১০% হারে ১০ টাকা। একই ভাবে দ্বিতীয় বছর আরও ১০ টাকা সুদ হলে দ্বিতীয় বছরে ভবিষ্যৎ মূল্য হওয়া উচিত ১২০ টাকা কিন্ত দ্বিতীয় বছরের ভবিষ্যৎ মূল্য হয়েছে ১২১ টাকা। এর কারণ দ্বিতীয় বছরের শুরুতে আসল ধরা হয় ১১০ টাকা এবং তাতে করে দ্বিতীয় বছরে ১০% হারে সুদ হয় ১১ টাকা।

এভাবে প্রথম বছরের সুদাসলকে দ্বিতীয় বছরের আসল ধরে তার উপর দ্বিতীয় বছরের সুদ ধার্য করার প্রক্রিয়াকে বলা হয় চক্রবৃদ্ধিকরণ পদ্ধতি। চক্রবৃদ্ধিকরণ পদ্ধতিতে প্রতিবছর সুদাসলের উপর সুদ ধার্য করে ভবিষ্যৎ মূল্য নির্ধারণ করা হয়। অর্থাৎ সুদ আসলের উপর যে সুদ প্রদান করা হয় তাকে চত্রবৃদ্ধি সুদ বলা হয়। কিন্তু সরল সুদের ক্ষেত্রে কেবল আসলের উপর সুদ গণনা করা হয়।

বার্ষিক চক্রবৃদ্ধিকরণ ও বছরে একাধিকবার চক্রবৃদ্ধিকরণ করে অর্থের ভবিষ্যৎ মূল্য নির্ণয়:

কখনো কখনো বছরে একাধিকবার চক্রবৃদ্ধি হতে পারে। যেমন: ব্যাংকে টাকা রাখলে মাসিক ভিত্তিতে চক্রবৃদ্ধির হয়। অর্থাৎ বছরে ১২ বার চক্রবৃদ্ধি হয়। সেক্ষেত্রে সূত্রটিতে দুটি পরিবর্তন করতে হবে। বছরে যদি বারবার চক্রবৃদ্ধি হয়, তাহলে প্রশতঃ সুদের হারকে ১২ দিয়ে ভাগ করতে হবে এবং দ্বিতীয়ত মেয়াদকে ও ১২ দিয়ে গুণ করতে হবে। একটি উদাহরণের মাধ্যমে সূত্রটি প্রয়োগ দেখানো হলো ।

উদাহরণ: যদি তুমি ১০% চক্রবৃদ্ধি সুদে ১০০ টাকা ব্যাংকে জমা রাখ এবং তুমি জানো বছরে ১২ বার চক্রবৃদ্ধি হবে, তবে ১ বছর পর তুমি কত টাকা পাবে? এর সমাধানের জন্য তোমাকে নিচের সূত্রটি ব্যবহার করতে হবে।


ধারণা: যদি তুমি আজকে ১০০ টাকা ব্যাংকে জমা রাখো তাহলে ১ বছর পরে তুমি ১১০.৪৬ টাকা পাবে ।
অর্থাৎ তুমি ১১০.৪৬ – ১০০ = ১০.৪৬ টাকা বেশী পাবে।

কোন ব্যাংকে কত টাকা জমা রাখলে তিনি অধিক লাভবান হবেন এ বিষয়ে পরামর্শ:
আমরা জানি,

বার্ষিক চক্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভবিষ্যত মূল্য
(FV) = PV X (1+i)n

এখানে;

X ব্যাংকের ক্ষেত্রে বর্তমান মূল্য PV = 6,00,000 টাকা ।
সুদের হার (i)                                    =  ২৯% বা ০.৯
বছরে চক্রবৃদ্ধির সংখ্যা (n)               = ৫ বছর
ভবিষ্যৎ মূল্য (FV)                            =  কত?

                                  PV = 6,11,640 টাকা (প্রায়)

                                                                                                   
                                      = 600000 X 1.5291
                            PV = 917460 টাকা (প্রায়)
এক্ষেত্রে ৫ বছর পরে মোট পাবেন:
            ৬১৫৪৪০ + ৯১৭৪৬০
        = ১৫৩২৯০০ টাকা (প্রায়)

সিদ্ধান্ত যেহেতু প্রথম অবস্থার ক্ষেত্রে ৫ বছর পরে মোট মূল্য অপেক্ষা দ্বিতীয় অবস্থার ক্ষেত্রে ৫ বছর পরে মোট মূল্য কম, সেহেতু প্রথম অবস্থাতে অর্থাৎ X ব্যাংকে ৬ লক্ষ টাকা এবং Y ব্যাংকে ৪ লক্ষ টাকা জমা রাখলে তিনি অধিক লাভবান।

সমাপ্ত

পরবর্তী সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রকাশ হওয়া মাত্র এখানে দেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *