HSC Geography 8th Week Assignment 2022
HSC Geography 8th Week Assignment 2022
I will now talk about how to answer the HSC 2022 8th week Geography assignment. So all the HSC 2020 examinees are required to follow us. Because now we will answer the HSC 2022 8th week Geography assignment. This is the second assignment of the Geography subject of 2022 HSC candidates. HSC 2022 has been selected from the first chapter of the 8th-week Geography Assignment. The title of the first chapter is Human Geography. HSC 2022 is the HSC 2022 8th week Geography assignment to mark the location and identity of the continents on the map.
বিষয়: ভূগােল ২য় পত্র, বিষয় কোড: ১২৬, স্তর: এইচএসসি, অ্যাসাইনমেন্ট নম্বর: ০২, প্রথম অধ্যায়: মানব ভূগােল।
অ্যাসাইনমেন্ট: মানচিত্রে মহাদেশ গুলাের অবস্থান ও পরিচিতি।
শিখনফল/বিষয়বস্তু:
- ১. পৃথিবীর প্রধান রাজনৈতিক অঞ্চল সম্পর্কে বর্ণনা করতে পারবে
- ২. পৃথিবীর দেশ ও মহাদেশভিত্তিক মানচিত্র অংকন করতে পারবে এবং বাংলাদেশের মানচিত্রে প্রশাসনিক অঞ্চল প্রদর্শন করতে পারবে
নির্দেশনা
- ক. পৃথিবীর মানচিত্র
- খ. মানচিত্রে মহাদেশ ও মহাসাগর
- গ. মহাদেশ সম্পর্কিত তথ্য
শিরোনাম: মানচিত্রে মহাদেশ গুলোর অবস্থান ও পরিচিতি।
(ক) পৃথিবীর মানচিত্র:
পৃথিবীর মানচিত্রে মহাদেশ ও মহাসাগর চিহ্নিতকরণ:-
(খ) মহাদেশের অবস্থান পরিচিতি:
১. এশিয়া (Asia): আয়তনে পৃথিবীর বৃহত্তম মহাদেশ এশিয়া। এ মহাদেশের আয়তন ৪ কোটি ৫০ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৯২ বর্গকিলােমিটার। পৃথিবীর স্থলভাগের প্রায় এক তৃতীয়াংশের কাছাকাছি এশিয়া মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত। এ মহাদেশ ১০° দক্ষিণ অক্ষরেখা থেকে ৮০° উত্তর অক্ষরেখা এবং ২৫° পূর্ব দ্রাঘিমারেখা থেকে ১৭০° পশ্চিম দ্রাঘিমারেখা (১৮০° পূর্ব দ্রাঘিমারেখা অতিক্রম করে আরাে ১০° দ্রাঘিমারেখা) পর্যন্ত বিস্তৃত। এশিয়া মহাদেশের প্রায় মধ্যভাগ দিয়ে ৯০° পূর্ব দ্রাঘিমারেখা অতিক্রম করেছে। এ মহাদেশের সর্বোচ্চ স্থান মাউন্ট এভারেষ্ট (৮,৮৫০ মিটার)। মহাদেশটির উত্তরে উত্তর মহাসাগর, দক্ষিণে ভারত মহাসাগর, পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণ-পশ্চিমে লােহিত সাগর ও আফ্রিকা মহাদেশ এবং পশ্চিমে ভূ-মধ্যসাগর ও ইউরােপ মহাদেশ অবস্থিত। এশিয়া এবং ইউরােপ মহাদেশের মাঝ বরাবর ইউরাল পর্বতমালা অবস্থিত। দ্বীপপুঞ্জ দ্বারা গঠিত জাপান, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া এ মহাদেশে অবস্থিত। এগুলােকে খণ্ডিত রাষ্ট্রও বলা হয়। এ মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত জাপানকে সূর্যোদয়ের দেশ বলা হয়। এশিয়া মহাদেশে বিভিন্ন আয়তনের ৫০টি দেশ রয়েছে। এর মধ্যে আয়তনে চীন বৃহত্তম (৯৫,৬১,০০০ বর্গকিলােমিটার) এবং মালদ্বীপ ক্ষুদ্রতম (২৯৮ বর্গকিলােমিটার)। এশিয়ার দীর্ঘতম নদী ইয়াংসিকিয়াং (৫,৯৮০ কিলােমিটার)। এ মহাদেশে মােট জনসংখ্যা ৪,৪৩৭ মিলিয়ন (পপুলেশন রেফারেন্স ব্যুরাে-পিআরবি, ২০১৬)।
২. আফ্রিকা (Africa): আফ্রিকা মহাদেশ আয়তনে দ্বিতীয় বৃহত্তম। এর আয়তন ৩ কোটি ৩ লক্ষ ৪৩ হাজার ৫৭৮ বর্গকিলােমিটার। এটি ৩৭° উত্তর অক্ষরেখা থেকে প্রায় ৩৫° দক্ষিণ অক্ষরেখা এবং ১৭° পশ্চিম দ্রাঘিমারেখা থেকে ৫১° পূর্ব দ্রাঘিমারেখা পর্যন্ত বিস্তৃত। আফ্রিকা মহাদেশের প্রায় মধ্যভাগ দিয়ে বিষুবরেখা বা নিরক্ষরেখা (Equator) অতিক্রম করেছে। এ মহাদেশের উত্তরে ভূ-মধ্যসাগর, দক্ষিণে দক্ষিণ মহাসাগর, পূর্বে ভারত মহাসাগর ও লােহিত সাগর এবং পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর অবস্থিত। মহাদেশটির সর্বোচ্চ স্থান কিলিমাঞ্জারাে (৫,৯৬৩ মিটার)। আয়তনে আফ্রিকার সবচেয়ে বড় দেশ সুদান (২৫,০৫,৮১৩ বর্গকিলােমিটার) এবং সবচেয়ে ছােট মিচেলিস (৩০৮ বর্গকিলােমিটার)। এ মহাদেশের দীর্ঘতম নদী নীলনদ (৬,৬৬৯ কিলােমিটার)। আফ্রিকা এবং ইউরােপ মহাদেশকে পৃথক করেছে ভূ-মধ্যসাগর। এ মহাদেশে বসবাসকারী মােট জনসংখ্যা ১,২০৩ মিলিয়ন (পিআরবি, ২০১৬)।
৩. উত্তর আমেরিকা (North America): পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম মহাদেশ উত্তর আমেরিকা। এটি দেখতে ত্রিভুজাকৃতির। এর আয়তন ২ কোটি ৫০ লক্ষ ৮০ হাজার ৩৩১ বর্গকিলােমিটার। মহাদেশটি ৮৩° উত্তর অক্ষরেখা থেকে দক্ষিণে ৮° উত্তর অক্ষরেখা এবং পূর্বে ৫২° পশ্চিম দ্রাঘিমারেখা থেকে পশ্চিমে প্রায় ১৭০° পশ্চিম দ্রাঘিমারেখা পর্যন্ত বিস্তৃত। এ মহাদেশের উত্তরে উত্তর মহাসাগর, দক্ষিণে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ, পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগর এবং পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর অবস্থিত। ১৪৯২ সালে কলম্বাস উত্তর আমেরিকা আবিষ্কার করেন। এ মহাদেশের সর্বোচ্চ স্থান ম্যাককিনলে (৬,১৯৪ মিটার)। পানামা খাল উত্তর আমেরিকাকে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে পৃথক করেছে। এ মহাদেশে ছােট-বড় অনেকগুলাে দ্বীপ রয়েছে। এর মধ্যে গ্রীনল্যান্ড, নিউফাউন্ডল্যান্ড অন্যতম। এ মহাদেশের মধ্য আমেরিকা থেকে মিসিসিপি অববাহিকা পর্যন্ত সুবিস্তৃত সমভূমি অঞ্চলকে প্রচুর পরিমাণে গম উৎপাদনের জন্য বিশ্বের রুটির ঝুড়ি’ বলা হয়। মিসিসিপি-মিসৌরি এ মহাদেশের দীর্ঘতম নদী (৫,৯৭০ কিলােমিটার)। ২৩টি দেশ নিয়ে উত্তর আমেরিকা গঠিত। আয়তনে সবচেয়ে বড় দেশ কানাডা (৯৯,৩৬,১৪০ বর্গকিলােমিটার) এবং সবচেয়ে ছােট বার্বাডােস (৪৩০ বর্গকিলােমিটার)। এ মহাদেশের মােট জনসংখ্যা ৩৬০ মিলিয়ন (পিআরবি, ২০১৬)।
৪. দক্ষিণ আমেরিকা (South America): আয়তনে চতুর্থ বৃহত্তম মহাদেশ দক্ষিণ আমেরিকা। এ মহাদেশ দেখতে ত্রিকোণােকৃতির। এর আয়তন ১ কোটি ৭৮ লক্ষ ১৫ হাজার ৪২০ বর্গকিলােমিটার। এটি উত্তরে ১৩° উত্তর অক্ষরেখা থেকে দক্ষিণে ৫৬° দক্ষিণ অক্ষরেখা এবং পূর্বে ৩৪° পশ্চিম দ্রাঘিমারেখা থেকে পশ্চিমে ৮২° পশ্চিম দ্রাঘিমারেখা পর্যন্ত বিস্তৃত। এ মহাদেশের উত্তরে উত্তর ক্যারিবিয়ান সাগর ও উত্তর আটলান্টিক মহাসাগর, দক্ষিণে দক্ষিণ মহাসাগর, পূর্বে আটলান্টিক মহাসাগর এবং পশ্চিমে প্রশান্ত মহাসাগর অবস্থিত। এ মহাদেশের সর্বোচ্চ স্থান আকাঙ্কাগুয়া (৬,৯৫৯ মিটার)। দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ ১৪টি দেশ নিয়ে গঠিত।
এ মহাদেশে অনেকগুলাে দ্বীপ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলাে ফকল্যান্ড। দক্ষিণ আমেরিকার দীর্ঘতম এবং পৃথিবীর প্রশস্ততম নদী আমাজান (৬,২৭৫ কিলােমিটার)। এ মহাদেশের অন্তর্গত ইকুয়েডরকে ‘চির বসন্তের দেশ বলা হয়। নিরক্ষরেখা দেশটির উপর দিয়ে অতিক্রম করেছে। মহাদেশটিতে বসবাসকারী মােট জনসংখ্যা ৪১৯ মিলিয়ন (পিআরবি, ২০১৬)।
৫. এন্টার্কটিকা (Antarctica): এন্টার্কটিকা মহাদেশ আয়তনে বিশ্বে পঞ্চম। এর মােট আয়তন ১ কোটি ৩৩ লক্ষ ৪০ হাজার বর্গকিলােমিটার। এটি ৯০° দক্ষিণ মেরুরেখা থেকে ৬০° দক্ষিণ অক্ষরেখা পর্যন্ত বিস্তৃত। মহাদেশটি পৃথিবীর দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত এবং দক্ষিণ মেরুকে কেন্দ্র করে প্রায় বৃত্তাকারে অবস্থিত। এ মহাদেশের চতুর্দিকে দক্ষিণ মহাসাগর অবস্থিত। মহাদেশটি সারাবছর বরফে আচ্ছন্ন থাকে বলে মনুষ্য বসবাসের অনুপযােগী। শীতলতম এই মহাদেশে কোনাে দেশ নেই। এখানকার উল্লেখযােগ্য প্রাণি অ্যালবাট্রস, পেঙ্গুইন, সীল ইত্যাদি। এছাড়া এ মহাদেশে মস ও শৈবাল জাতীয় উদ্ভিদ জন্মে।
৬. ইউরােপ (Europe): ইউরােপ মহাদেশ আয়তনে বিশ্বে ষষ্ঠ। এর আয়তন ৯৯ লক্ষ ২৮ হাজার ৫৯৯ বর্গকিলােমিটার। এটি ৩৫° উত্তর অক্ষরেখা থেকে ৭১° উত্তর অক্ষরেখা এবং ২৫° পশ্চিম দ্রাঘিমারেখা থেকে ৬৬° পূর্ব দ্রাঘিমারেখা পর্যন্ত বিস্তৃত। ইউরােপ মহাদেশের উত্তরে উত্তর মহাসাগর, দক্ষিণে ভূ-মধ্যসাগর ও কৃষ্ণসাগর, পূর্বে কাস্পিয়ান সাগর, ইউরাল নদী ও ইউরাল পর্বত এবং পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর অবস্থিত। এ মহাদেশের সর্বোচ্চ স্থান মাউন্ট এলবুর্জ (৫,৬৩৩ মিটার)। ইউরােপ মহাদেশ ৪৫টি দেশ নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে আয়তনে বৃহৎ রাশিয়া (১,৭০,৭৫,৪০০ বর্গকিলােমিটার) এবং ক্ষুদ্রতম ভ্যাটিকান (০.৪৪ বর্গকিলােমিটার)। এশিয়া এবং ইউরােপ উভয় মহাদেশে রাশিয়ার অবস্থান হলেও এটি ইউরােপ মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত। এ মহাদেশের দীর্ঘতম নদী ভলগা (৩,৬৮৭ কিলােমিটার)। ইউরােপের শ্রেষ্ঠ শিল্প প্রধান দেশ যুক্তরাজ্য। এ মহাদেশে বসবাসকারী জনসংখ্যা ৭৪০ মিলিয়ন (পিআরবি,২০১৬)। এশিয়া এবং ইউরােপ মহাদেশকে একত্রে ইউরেশিয়া বলা হয়। ৭, অস্ট্রেলিয়া (Australia): অস্ট্রেলিয়া আয়তনে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম মহাদেশ। এটি প্রায় ৮৫ লক্ষ ৪ হাজার ২৪১ বর্গকিলােমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। মহাদেশটি পশ্চিমে প্রায় ১১৪° পূর্ব দ্রাঘিমারেখা থেকে পূর্বে ১২০° পশ্চিম দ্রাঘিমারেখা এবং ২৮° উত্তর অক্ষরেখা থেকে ৪৭° দক্ষিণ অক্ষরেখা পর্যন্ত বিস্তৃত। এ মহাদেশের সর্বোচ্চ স্থান পুঁসাক জায়া (৪,৮৮৪ মিটার)। আঞ্চলিক অবস্থান অনুসারে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশকে ৪টি অঞ্চলে বিভক্ত করা যায়। যথা-অস্ট্রেলেশিয়া, মেলানেশিয়া, মাইক্রোনেশিয়া এবং পলিনেশিয়া। মেলানেশিয়া, মাইক্রোনেশিয়া এবং পলিনেশিয়া নিয়ে ওশেনিয়া অঞ্চল গঠিত। অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ ২২টি দেশ নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে আয়তনে বৃহত্তম অস্ট্রেলিয়া (৭৬,৮২,৩০০ বর্গকিলােমিটার) এবং ক্ষুদ্রতম নাউরু (২১.৩ বর্গকিলােমিটার)। অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘতম নদী মারে ডার্লিং (3,৪৯০ কিলােমিটার)। এ মহাদেশের মােট জনসংখ্যা ৪০ মিলিয়ন (পিআরবি, ২০১৬)।
(গ) বাংলাদেশ ও এর বন্ধুরাষ্ট্র:
ভারত:
এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ এশিয়া অংশে ভারতের অবস্থান। এটি ৮°৪’ উত্তর অক্ষরেখা থেকে ৩৭৭৬ উত্তর অক্ষরেখা এবং ৬৮°৭’ পূর্ব দ্রাঘিমারেখা থেকে ৯৭°২৫’ পূর্ব দ্রাঘিমারেখা পর্যন্ত বিস্তৃত। দেশটির প্রায় মধ্যভাগ দিয়ে পূর্ব-পশ্চিমে কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করেছে। এর উত্তরে হিমালয় পর্বত, চীন, নেপাল ও ভুটান, দক্ষিণে ভারত মহাসাগর ও শ্রীলংকা, পূর্বে মিয়ানমার, বঙ্গোপসাগর ও পূর্বাংশের অভ্যন্তরে বাংলাদেশ, এবং পশ্চিমে পাকিস্তান ও আরব সাগর অবস্থিত। ভারতের উপকূল রেখার দৈর্ঘ্য ৭,৫১৭ কিলােমিটার এবং স্থল সীমারেখার দৈর্ঘ্য ১৫,২০০ কিলােমিটার।
দেশটি ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। এর রাজধানী নয়াদিল্লী। ২৯টি অঙ্গরাজ্য এবং ৭টি কেন্দ্রশাসিত রাজ্য নিয়ে ভারত গঠিত (চিত্র ২.৩.১)। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম এদেশের আয়তন ৩২,৮৭,২৬৩ বর্গকিলােমিটার। এটি পূর্ব-পশ্চিমে ২,৯৩৩ কিলােমিটার এবং উত্তর-দক্ষিণে ৩,২১৪ কিলােমিটার বিস্তৃত। ভারতের নদীগুলাের মধ্যে অন্যতম সিন্ধু, গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, কৃষ্ণা, কাবেরী, নর্মদা ইত্যাদি। ভারতের সংবিধানে ২২টি ভাষা স্বীকৃত রয়েছে। বিগত কয়েক দশকে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি সাধন করেছে। সেইসাথে বেড়েছে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা।
যুক্তরাজ্য:
ইউরােপ মহাদেশের অন্যতম দেশ যুক্তরাজ্য। এটি ২° পূর্ব দ্রাঘিমারেখা থেকে ১০° পশ্চিম দ্রাঘিমারেখাএবং ৫০° উত্তর অক্ষরেখা থেকে ৬০° উত্তর অক্ষরেখা পর্যন্ত বিস্তৃত। ইউরােপের উত্তর-পশ্চিমাংশে গ্রেট ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ড নামে দুইটি বড় দ্বীপ এবং হেব্রাইডিস, মাইল অফম্যান, সেটল্যান্ড, অর্কনি, চ্যানেল দ্বীপপুঞ্জসহ প্রায় ৫,০০০ ছােট ছােট দ্বীপ রয়েছে। গ্রেট ব্রিটেন তিন ভাগে বিভক্ত। এর দক্ষিণের অংশকে ইংল্যান্ড, উত্তরের অংশকে স্কটল্যান্ড এবং পশ্চিমাংশকে বলা হয় ওয়েলস। আয়ারল্যান্ড আবার দুইটি অংশে বিভক্ত। একটি হলাে উত্তর আয়ারল্যান্ড এবং অন্যটি দক্ষিণ আয়ারল্যান্ড। দক্ষিণ আয়ারল্যান্ড একটি স্বাধীন দেশ। এর রাষ্ট্রীয় নাম আইরিশ রিপাবলিক। উত্তর আয়ারল্যান্ড এবং গ্রেট ব্রিটেন নিয়ে গঠিত যুক্তরাজ্য। এর রাজধানী লন্ডন। দেশটির আয়তন ২,৪৪,১১০ বর্গকিলােমিটার। যুক্তরাজ্যের মােট স্থল সীমানা ৪৪৩ কিলােমিটার এবং উপকূল রেখা ১২,৪২৯ কিলােমিটার। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে শুধুমাত্র দক্ষিণ আয়ারল্যান্ডের স্থল সীমান্ত রয়েছে (চিত্র ২.৪.১)। দেশটির অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা ২০০ নটিক্যাল মাইল এবং আঞ্চলিক সমুদ্রসীমা ১২ নটিক্যাল মাইল। প্রধান নদী টেমস, টাইন, টিজ প্রভৃতি। প্রসিদ্ধ স্থানসমূহের মধ্যে রয়েছে লন্ডন, গ্লাসগাে, ডান্ডি, বার্মিংহাম, এডিনবরা প্রভৃতি। দেশটি পরিবহন ও যােগাযােগ ব্যবস্থায় উন্নত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র:
উত্তর আমেরিকা মহাদেশের বৃহৎ রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই ১৩টি ব্রিটিশ উপনিবেশ স্বাধীনতা ঘােষণা করে এবং একত্রিত হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নামে একটি প্রজাতন্ত্র গঠন করে। স্বাধীনতা ঘােষণার পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে আরাে ৩৭টি রাজ্য এদেশের সাথে যুক্ত হয়। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৫০টি রাজ্য এবং একটি স্বাধীন জেলা ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া নিয়ে গঠিত। এছাড়া শাসনাধীন অঞ্চলগুলাে হলাে পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের নিকটবর্তী পাের্টোরিকো দ্বীপ, প্রশান্ত মহাসাগরের ভার্জিন দ্বীপপুঞ্জ, পানামা খাল অঞ্চল, সামােয়া ও গুয়াম টেরিটরি। এদেশের পতাকায় ৫০টি তারকা রয়েছে যা ৫০টি রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করছে এবং ১৩টি সমান্তরাল রেখা (লাল ও সাদা রংয়ের) রয়েছে যা দেশটির প্রতিষ্ঠাকালীন ১৩টি উপনিবেশকে নির্দেশ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে কয়েকটি অঞ্চলে ভাগ করা যায়। যেমন-সমতল রাজ্যসমূহ, নিউ ইংল্যান্ড রাজ্যসমূহ, মধ্য আটলান্টিক রাজ্যসমূহ, দক্ষিণ-পূর্ব রাজ্যসমূহ, মধ্য-পশ্চিম রাজ্যসমূহ, পার্বত্য রাজ্যসমূহ, দক্ষিণ-পশ্চিম রাজ্যসমূহ এবং সর্ব দক্ষিণের রাজ্যসমূহ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি। প্রসিদ্ধ স্থানসমূহের মধ্যে অন্যতম ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক, বােস্টন, শিকাগাে, লস এন্সেলস, সানফ্রান্সিসকো প্রভৃতি।
অস্ট্রেলিয়া:
অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান। এর চতুর্দিক ভারত মহাসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগর দ্বারা বেষ্টিত। এটি একসময় ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল। ১৯০১ সালে ছয়টি রাজ্য ভিক্টোরিয়া, তাসমানিয়া, কুইন্সল্যান্ড, নিউ সাউথ ওয়েলস, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া এবং পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় কমনওয়েলথ অব অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরা। এর আয়তন ৭৬,৮২,৩০০ বর্গকিলােমিটার। এটি আয়তনে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ তথা দক্ষিণ গােলার্ধের বৃহত্তম দেশ এবং বিশ্বে ষষ্ঠ। এদেশের সঙ্গে কোনাে দেশের স্থল সীমান্ত নেই। নিকটবর্তী দেশসমূহের মধ্যে রয়েছে উত্তরে পাপুয়া নিউ গায়ানা, ইন্দোনেশিয়া এবং পূর্ব তিমুর, উত্তর-পূর্বে সলােমন দ্বীপপুঞ্জ এবং ভানুয়াতােয়া, দক্ষিণ-পূর্বে নিউজিল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ স্থান কোসকিউসকো (২,২২৯ মিটার) এবং সর্বনিম্ন স্থান লেক আইয়র (১৫ মিটার)। দেশটির পূর্ব-পশ্চিমে দূরত্ব প্রায় ৪,০০০ কিলােমিটার এবং উত্তর থেকে দক্ষিণে ৩,২০০ কিলােমিটার। উপকূল রেখার দৈর্ঘ্য ৩৬,৭৩৫ কিলােমিটার এবং স্থল সীমানা ০ কিলােমিটার। দেশটির আঞ্চলিক সমুদ্রসীমা ১২ নটিক্যাল মাইল এবং অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা ২০০ নটিক্যাল মাইল। অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘতম নদী মারে ডার্লিং (২,৩৭৫ কিলােমিটার)।
(ঘ) মানচিত্রে বন্ধু রাষ্ট্রসমূহ চিহ্নিতকরণ:
ভারত: