SSC 2021 Business Entrepreneur Babsai Udyog Assignment Answer All Week || এসএসসি ২০২১ ব্যবসায় উদ্যোগ এসাইনমেন্ট সমাধান

SSC Business Entrepreneur Assignment 2021



SSC has given a 1st-week assignment for participants from the commercial Group in the 2021 examination. Where the business entrepreneur of that branch has given the subject in the 1st-week assignment. The business entrepreneurial subject is one of the essential subjects of the commercial branch along with 3 other subjects. Where a common man can get involved in business, and be a successful entrepreneur, are discussed.

1st Week SSC 2021 Babsai Udyog Assignment (SSC Exam 2021)



SSC 2021 has given the 1st chapter for the scheduled work of the first-week assignment of Babsai udyog. The title of the chapter is ‘Business Introduction’ which does not contain any separate syllabus. Let’s find out now, SSC 2021 business entrepreneur what will students learn from the 1st-week assignment of the subject?

Dear student, hope you have started preparing your SSC 2021 Business Entrepreneur Assignment Answer. We are also preparing SSC Business Entrepreneur Assignment 2021 Answer. Hopefully, we can create a nice assignment solution on Business Entrepreneur if we combine it with each other.

Business Entrepreneur Babsai Udyog subject has been included in your 1st assignment. You have to do a total of eight Business Entrepreneur Babsai Udyog assignments. You will be assessed and numbered by solving this assignment. Assignment Marks, MCQ Results will be made on the basis of SSC Business Entrepreneur Babsai Udyog Result. Also if it is not possible to take the exam, then only the number of this assignment will be the Marks of Business Entrepreneur Babsai Udyog Subject in your SSC exam. So your assignment has to be creative and accurate

‘Your Business Entrepreneur Babsai Udyog assignment has been prepared according to the short syllabus. Your SSC exam will be conducted according to this short syllabus. However, it will be in MCQ method. The Assignment Marks will be 50 and the MCQ Marks will be 50.

SSC Business Entrepreneur Babsai Udyog Assignment Answer 2021

If you look at the learning results of the 1st week assignment, it can be seen that it can be known by 1. Be able to explain the concept of business, II. Can describe the types of business, 3. Be able to identify the elements of the environment that affect business. But before that a student has to solve the 1st week SSC business entrepreneurial subject assignment. Only then can the above-mentioned learning outcomes be known.


বাংলাদেশের ব্যবসায়  সম্প্রসারণে ব্যবসায় পরিবেশের প্রভাব বিশ্লেষণ।

সাধারণত মুনাফার উদ্দেশ্যে পরিচালিত, নিয়ন্ত্রিত সকল অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে ব্যবসায় বলে। গত কয়েকদিন আগে আমি মাঠে খেলতে গিয়ে কয়েকজন বন্ধুকে প্রশ্ন করলাম যে, তাদের কার বাবা কি করে। কেউ বলল তার বাবার ঔষধের দোকান, কেউ বলল মুদির দোকান, শাড়ির দোকান, ইত্যাদি। তাদের অভিভাবকদের সবগুলো কর্মকান্ডই অর্থনৈতিক কাজ ব্যবসায়ের অন্তর্ভূক্ত হবে যদি তারা জীবিকা   নির্বাহ ও মুনাফার আশায় উক্ত কাজগুলো করে থাকেন ।

মূলত মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে পরিচালিত অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে ব্যবসায় বলে। পরিবারের সদস্যদের জন্য খাদ্য উৎপাদন করা, হাস-মুরগি পালন করা, সবজি চাষ করাকে ব্যবসায় বলা যায় না। কিন্তু যখন কোন কৃষক মুনাফার আশায় ধান চাষ করে বা সবজি চাষ করাকে ব্যবসায় বলে গণ্য হবে। তবে মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে পরিচালিত সকল অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ব্যবসা বলে গণ্য হবে যদি সেগুলো দেশের আইনে বৈধ ও সঠিক উপাষে পরিচালিত হয়।

ব্যবসায়ের আরও কিছু বৈশিষ্ট্য আছে, যা একে অন্যান্য পেশা থেকে আলাদা করেছে। ব্যবসায়ের সাথে জড়িত পণ্য বা সেবার অবশ্যই আর্থিক মূল্য থাকতে হবে। ব্যবসায়ের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো এর সাথে ঝুঁকির সম্পর্ক। মূলত মুনাফা অর্জনের আশাতেই ব্যবসায়ী অর্থ বিনিয়োগ করে। ব্যবসায়িক কর্মকান্ডের মাধ্যমে মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি অবশ্যই সেবার মনোভাব থাকতে হবে ।

বর্তমানে ব্যবসায় শুধু পণ্যদ্রব্যের ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। আধুনিক ব্যবসাকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা-

১.  শিল্প

২. বাণিজ্য

৩. প্রত্যক্ষ সেবা।


শিল্পের উদাহরণ:

প্রজনন শিল্প (নার্সারি), নিস্কাষণ শিল্প (খনিজ শিল্প), নিমার্ণ শিল্প (রাস্তাঘাট নির্মাণ), উৎপাদন শিল্প (বস্ত্র শিল্প), সেবামূলক শিল্প (বিদ্যুৎ শিল্প) ইত্যাদি ।


Finance And Banking SSC 2021 Assignment Answer All Week

বাণিজ্যের উদাহরণ:

পরিবহন, গুদামজাতকরণ, ব্যাংকিং, বিমা, বিপণন ও বিজ্ঞাপন ইত্যাদির সাহায্যে বাণিজ্যের প্রতিবন্ধকতা দূর করা যায়।

প্রত্যক্ষ সেবা: অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্য স্বাধীন পেশায় । নিয়োজিত ডাক্তার, উকিল, প্রকৌশলী প্রভৃতি পেশাজীবীরা। বিভিন্ন রকম সেবাকর্ম অর্থের বিনিময়ে প্রদান করে থাকেন। এ সকল সেবাকর্ম বা বৃত্ত প্রত্যক্ষ সেবা হিসেবে পরিচিত। যেমন ডাক্তারি, ক্লিনিক, আইন চেস্বার ইত্যাদি প্রত্যক্ষ সেবা আধুনিক ব্যবসায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা ।

পরিবেশ দ্বারা মানুষের জীবনধারা, আচার-আচরণ, শিক্ষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি এবং ব্যবসা প্রভাবিত হয়। পরিবেশ হলো কোন অঞ্চলের জনগণের জীবনধারা ও অর্থনৈতিক কাযাবলিকে প্রভাবিত করে এমন সব উপাদানের সমষ্টি। পারিপার্সিক উপাদানের মধ্যে রয়েছে ভূপ্রকৃতি, জলবায়ু নদনদী, পাহাড়, বনভূমি, জাত, শিক্ষা ইত্যাদি । যে সবপ্রাকৃতিক ও অপ্রাকৃতিক উপাদান ছাড়া ব্যবসায়িক সংগঠনের গঠন উন্নতি ও অবনতি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রভাবিত হয় সেগুলোর সমষ্টিকে ব্যবসায়িক পরিবেশ বলে। কোন স্থানের ব্যবসায়-ব্যবস্থার উন্নতি নির্ভর করে ব্যবসায়িক পরিবেশের উপর।

বহু প্রকারের ব্যবসায়িক পরিবেশ দেখতে পাওয়া গেলে ও ব্যবসায়িক পরিবেশের উপাদানগুলোকে প্রধানত ছয় ভাগে ভাগ করা যায়।

ক. প্রাকৃতিক পরিবেশ

খ. অর্থনৈতিক পরিবেশ

গ. রাজনৈতিক পরিবেশ

ঘ. সামাজিক পরিবেশ

ঙ. আইনগত পরিবেশ

চ. প্রযুক্তিগত পরিবেশ।


বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে ব্যবসায়িক পরিবেশের সকল উপাদান অনুকূল না হলে ব্যবসায় বাণিজ্যে উন্নতি লাভ করে টিকে থাকা কঠিন। ব্যবসায়িক পরিবেশের প্রভাব বিস্তারকারী পরিবেশের ৪টি উপাদান।

উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করা হলো:

প্রাকৃতিক উপাদান:

প্রাকৃতিক পরিবেশের অধিকাংশ উপাদানই বাংলাদেশে ব্যবসায় স্থাপনের জন্য অনুকূল। দেশের প্রায় সকল অংশই নদী বিধৌত ।   ফলে সহজেই এখানে কৃষিজাত বিভিন্ন শিল্প ভোগ্য পণ্যের কাঁচামাল উৎপাদন করা সম্ভব।

SSC 2021 History of Bangladesh Assignment Answer All Week

অর্থনৈতিক উপাদান:

দেশে বিরাজমান কার্যকর অর্থ ও ব্যাংকিং ব্যবস্থা, কৃষি ও শিল্পের অবদান, জনগণের সত্য ও বিনিয়োগ

মানসিকতা ও সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ব্যবসায় পরিবেশের সুদৃঢ় অর্থনৈতিক উপাদান হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উপাদানগুলোর কযেকটির ভিত্তি বেশ মজবুত হলেও অনেকগুলোর ভিত্তি তেমন সুদৃঢ় নয়।

সামাজিক উপাদান:

জাতি, ধর্মীয় বিশ্বাস, ভোক্তার মনোভাব, মানব সম্পদ, শিক্ষা ও সংস্কৃতি, এতিহ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবসায়ের সামাজিক উপাদানগুলোর বেশিরভাগ বাংলাদেশে ব্যবসায় প্রসারের ক্ষেত্রে অনুকূল । এ দেশের মানুষ জাতিগত, ঐতিহ্যগত এবং সাংস্কৃতিকভাবে উদার, পরিশ্রমী এবং সৃজনশীল। অতীতে জাহাজ নির্মাণ করে এবং মসলিন কাপড় উৎপাদন করে এ দেশের মানুষ তাদের প্রতিভা ও পরিশ্রমের স্বাক্ষর রেখেছে।

রাজনৈতিক উপাদান:

সুষ্ঠ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি। এবং অনুকূল শিল্প ও বাণিজ্যনীতি, প্রতিবেশী ও অন্যান্য দেশের সাথে সুসম্পর্ক ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে সহায়তা করে। অন্যদিকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, ঘন ঘন সরকার পরিবর্তন, হরতাল, ধর্মঘট, ব্যবসায়-বান্ধব শিল্প ও বাণিজ্য নীতির অভাব ইত্যাদি প্রতিকূল রাজনৈতিক। উপাদান শিল্প ও বাণিজ্যের প্রসারে বাধা সৃষ্টি করে ।

আইনগত উপাদান:

আইনগত পরিবেশের বেশ কিছু উপাদান বাংলাদেশে আধুনিক ও যুগোপযোগী হলেও অনেকগুলো বেশ পুরাতন। পরিবেশ সংরক্ষণ ও ভোক্তা অধিকার আইনের কঠোর প্রয়োগ, শিল্প ও বিনিয়োগ বান্ধব আইন তৈরি, দুনীতি, ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধে আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নতি নিশ্চিত করা যায়।


Assignment Answer More Subject

2nd Week Business Entrepreneur Assignment For SSC 2021

Now let’s come to the assignment of the 2nd week of the participants of the SSC examination of 2021. After taking the business entrepreneur assignment in the 1st week, he has given the same assignment for the 2nd week. But there are some differences, and it’s normal to have them because the 1st week and the 2nd week are completely different. Where the 1st week was the 1st chapter for SSC’s Business Entrepreneur Assignment. This time the assignment work on the 2nd chapter has come in the 2nd week. SSC 2021 2nd Week Business Entrepreneurship Chapter 2 is titled “Business Entrepreneurship and Entrepreneurship”. Student friends who are going to take part in the SSC exam of 2021 can submit the assignments of 1st and 2nd week at once if you want. Because after the 1st week there is an assignment in the 2nd week without any gap.

            2nd Week Business Entrepreneur Assignment Answer For SSC 2021


বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যবসায় উদ্যোগ এর ভূমিকা নিরূপণ


উদ্যোগ ও ব্যবসায় উদ্যোগ এর ধারণা:

সাধারণ অর্থে, যে কোনো কর্মপ্রচেষ্টাই উদ্যোগ। কোন সহৃদয় ব্যক্তি এলাকার জনসাধারণের বিশেষ করে দরিদ্র মানুষের কল্যাণের লক্ষ্যে একটি হাসপাতাল স্থাপন করতে এগিয়ে আসেন। তিনি ব্যক্তিগত অর্থ ও সম্পদ ব্যয় করে হাসপাতালটি স্থাপন করেন এবং ডাক্তার ও নার্স নিয়োগ করেন। এটি তার দৃঢ় মনোবল ও উদ্যোগ গ্রহণের ফসল। এভাবে সকল প্রকার জনহিতকর কাজ যেমন, স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল ও খেলাধুলার ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা উদ্যোগের ফসল। ব্যবসায় স্থাপন বা প্রতিষ্ঠাও কোন একজন ব্যক্তি বা কয়েকজনের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল। একটি ব্যবসায় স্থাপনের ধারণা চিহ্নিতকরণ থেকে শুরু করে ব্যবসায়টি স্থাপন ও সফলভাবে পরিচালনাই ব্যবসায় উদ্যোগ।

বিশদভাবে বলতে গেলে, ব্যবসায় উদ্যোগ বলতে বোঝায় লাভবান হওয়ার আশায় লোকসানের সম্ভাবনা জেনেও ঝুঁকি নিয়ে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠার জন্য দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাওয়া ও সফলভাবে ব্যবসায় পরিচালনা করা। যিনি ব্যবসায় উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনিই ব্যবসায় উদ্যোক্তা। যে ব্যক্তি দৃঢ় মনোবল ও সাহসিকতার সাথে ফলাফল অনিশ্চিত জেনেও ব্যবসায় স্থাপন করেন ও সফলভাবে ব্যবসায় পরিচালনা করেন তিনি ব্যবসায় উদ্যোক্তা বা শিল্পোদ্যোক্তা। অন্যদিকে, মুনাফা লাভের উদ্দেশে একটি ব্যবসায় স্থাপনের ধারণা চিহ্নিতকরণ থেকে শুরু করে ব্যবসায়টি স্থাপন ও সফলভাবে পরিচালনাই ব্যবসায় উদ্যোগ।

ব্যবসায় উদ্যোগ গড়ে উঠার অনুকূল পরিবেশ:

আমরা যদি উন্নত বিশ্বের দিকে লক্ষ করি তাহলে দেখতে পাই যে, তাদের অগ্রগতির একটি প্রধান কারণ হলো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠা, পরিচালনা ও সম্প্রসারণের অনুকূল পরিবেশ। আমাদের দেশে মেধা, মনন ও দক্ষতার খুব বেশি ঘাটতি নেই। শুধুমাত্র অনুকূল পরিবেশের অভাবে আমাদের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ব্যবসায় উদ্যোগ গড়ে উঠার জন্য নিম্নোক্ত অনুকুল পরিবেশ থাকা উচিত:

১.উন্নত অবকাঠামোগত উপাদান:

ব্যবসায় পরিচালনার জন্য আনুষঙ্গিক কিছু সুযোগ সুবিধা, যেমন বিদ্যুৎ, গ্যাস ও যাতায়াত ব্যবস্থা দরকার। ব্যবসায়ের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য এই সকল উপাদান থাকা বাঞ্ছনীয়

২. সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা:

সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে দেশের ব্যবসায় উদ্যোগের আরও সম্প্রসারণ ও সমৃদ্ধি সম্ভব। সরকারি বিভিন্ন সিদ্ধান্ত যেমন কর মওকুফ, স্বল্প বা বিনা সুদে মুল্ধন সরবরাহ ইত্যাদি ব্যবসায় উদ্যোগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারবে।

৩. আর্থসামাজিক স্থিতিশীলতা:

অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা যেমন ব্যবসায় উদ্যোগের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে, তেমনি অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা ব্যবসায় উদ্যোগের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।

৪. অনুকূল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি:

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে ব্যবসায় স্থাপন ও পরিচালনা সহজ হয়। অন্যদিকে অস্থিতিশীল আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ব্যবসায় স্থাপন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করে।

৫. পর্যাপ্ত পুঁজির প্রাপ্যতা:

যে কোনো ব্যবসায় উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়ন করার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ পুঁজি বা মূলধন। মূলধনের স্বল্পতার কারণে অধিকাংশ ব্যবসায় স্থাপন ও পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। এজন্য দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে যাতে করে নতুন উদ্যোক্তারা পুঁজির যোগান পেতে পারে।

৬. প্রশিক্ষণের সুযোগ:

প্রশিক্ষণের অভাবে অনেক সময় সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয় না। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ব্যবসায়ের জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করা সম্ভব৷


ব্যবসায় উদ্যোগ এর বৈশিষ্ট্য

ব্যবসায় উদ্যোগের ধারণা বিশ্লেষন করলে যে সকল বৈশিষ্ট্য ও কার্যাবলি লক্ষ করা যায় তা হল:

১। এটি ব্যবসায় স্থাপনের কর্ম উদ্যোগ। ব্যবসায় স্থাপন সংক্রান্ত সকল কর্মকান্ড সফলভাবে পরিচালনা করতে ব্যবসায় উদ্যোগ সহায়তা করে।

২। ঝুকি আছে জেনেও লাভের আশায় ব্যবসায় পরিচালনা। ব্যবসায় উদ্যোগ সঠিকভাবে ঝুঁকি পরিমাপ করতে এবং পরিমিত ঝুঁকি নিতে সহায়তা করে।

৩। ব্যবসায় উদ্যোগের ফলাফল হলো একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। এর মানে হলো ব্যবসায় উদ্যোগ সম্পর্কে ধারণা কোনো চিন্তা-ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে সহায়তা করে।

৪। ব্যবসায় উদ্যোগের অন্য একটি ফলাফল হলো একটি পণ্য বা সেবা।

৫। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটি সফলভাবে পরিচালনা করা।

৬। নিজের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। ব্যবসায় উদ্যোগের মাধ্যমে একজন উদ্যোক্তা নিজের উপার্জনের ব্যবস্থা করতে পারেন।

৭। অন্যদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। ব্যবসায় উদ্যোগ মালিকের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অন্যদের জন্যও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেন।

৮। নতুন সম্পদ সৃষ্টি করা। ব্যবসায় উদ্যোগের মাধ্যমে যেমন মানবসম্পদ উন্নয়ন হয় তেমনি মূলধনও গঠন হয়।


আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যবসায় উদ্যোগ এর গুরুত্ব:

বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০১০ অনুযায়ী আমাদের মোট জাতীয় উৎপাদনের প্রায় ৫০ ভাগ আসে সেবা খাত থেকে, প্রায় ২০ ভাগ আসে কৃষি থেকে আর বাকি.৩০ ভাগ আসে শিল্প খাত থেকে। যেকোনো, দেশের উন্নয়নে শিল্পখাত মুখ্য ভূমিকা পালন করে। ব্যবসায় উদ্যোগের মাধ্যযে শিল্পখাত সহ সকল খাতেরই উন্নয়ন সম্ভব! বাবসায়, উদ্যোগ নিশ্নোক্তভাবে আমাদের দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারো

১। সম্পদের সঠিক ব্যবহার:

ব্যবসায় উদ্যোগ আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ ও মানব সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করে। তাছাড়া নতুন নতুন শিল্প স্থাপনের মাধ্যমে বিনিয়গ বৃদ্ধি এবং সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব।

২। জাতীয় উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধি:

ব্যবসায় উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের জাতীয় আয় বৃদ্ধি পায়। ফলে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত জাতীয় আয় বৃদ্ধির লক্ষমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়।

৩। নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি:

সরকারের পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের মাধ্যমেও দেশে শিল্প কারখানা স্থাপন, পরিচালনা ও সম্প্রসারণ হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে নিত্যনতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয় যা বেকার সমস্যা দুর করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে।

৪। দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি:

বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। আমাদের এই বিশাল জনসংখ্যাই আমাদের সম্পদ হতে পারে। কারণ ব্যবসায় উদ্যোক্তা দেশের অদক্ষ জনগোষ্ঠীকে উৎপাদনশীল কাজে নিয়োজিত করে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর করতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *