SSC 2021 Business Entrepreneurship 4th Week Answer

SSC 2021 Business Entrepreneurship 4th Week Question


SSC 2021 Business Entrepreneurship 4th Week Answer 

ব্যবসায় উদ্যোগ এসাইনমেন্ট সমাধান

শিরোনাম:: ব্যবসায় উদ্যোগ সৃষ্টিতে আত্মকর্মসংস্থানের ভূমিকা

ক) ব্যবসায় উদোগের ধারণা: উদ্যোগ যে কোনো বিষয়ের ব্যাপারেই হতে পারে কিন্তু লাভের আশায় ঝুঁকি নিয়ে অর্থ ও শ্রম বিনিয়োগ করাই হলো ব্যবসায় উদ্যোগ । উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মনে কর তুমি বাঁশ ও বেত দিয়ে সুন্দর সুন্দর জিনিস তৈরি করতে পার। এখন নতুন এক ধরনের বেতের চেয়ার দেখে সেটা বানানোর চেষ্টা করলে এটি তোমার উদ্যোগ! এখন তুমি যদি অর্থ সংগ্রহ করে বাঁশ ও বেতের সামগ্রী তৈরির দোকান স্থাপন করে সফলভাবে ব্যবসায় পরিচালনা কর, তখন এটি হবে ব্যবসায় উদ্যোগ!

খ) ব্যবসায় উদ্যোগের বৈশিষ্ট্য:

১। নিজের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা: ব্যবসায় উদ্যোগের মাধ্যমে একজন উদ্যোক্তা নিজের উপার্জনের ব্যবস্থা করতে পারেন!

২। অন্যদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা: ব্যবসায় উদ্যোগ মালিকের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অন্যদের জন্যও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেন।

৩। নতুন সম্পদ সৃষ্টি করা: ব্যবসায় উদ্যোগের মাধ্যমে যেমন মানবসম্পদ উন্নয়ন হয় তেমনি মূলধনও গঠন হয়।


গ) আত্মকর্মসংস্থানের ধারণা: নিজস্ব  পুঁজি অথবা খণ করা স্বল্প সম্পদ, নিজস্ব চিন্তা, জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ন্যুনতম ঝুঁকি নিয়ে আত্ম প্রচেষ্টায় জীবিকা অর্জনের ব্যবস্থাকে আত্মকর্মসংস্থান বলে। জীবিকা অর্জনের বিভিন্ন পেশার মধ্যে আত্মকর্মসংস্থান একটি জনপ্রিয় পেশা। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় বিভিন্ন খুচরা বিক্রয়, রেডিও ও টেলিভিশন মেরামত,


ঘ) আত্মকর্মসংস্থান ও উদ্যোগের মধ্যে সম্পর্ক: আত্মকর্মসংস্থান ও ব্যবসায় উদ্যোগের মধ্যে সম্পর্ক ব্যাপক। কেউ যখন নিজস্ব পুঁজি অথবা খণ করা স্বল্প সম্পদ, নিজস্ব চিন্তা, জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ন্যুনতম ঝুঁকি নিয়ে আত্ম প্রচেষ্টায় জীবিকা অর্জনের ব্যবস্থা করে তখন তাকে আত্মকর্মসংস্থান বলে। আত্মকর্মসংস্থানে বিনিয়োগ থাকে, একইসাথে ঝুঁকিও থাকে।  অন্যদিকে লাভের আশায় ঝুঁকি নিয়ে অর্থ ও শ্রম বিনিয়োগ করাই হলো ব্যবসায় উদ্যোগ। সেখানেও ঝুঁকি থাকে একইসাথে থাকে বিনিয়োগ। এছাড়াও ব্যবসায় উদ্যোগের সাথে আত্মকর্মসংস্থানের সম্পর্ক খুব নিবিড় । আত্মকর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি নিজের কর্মসংস্থানের চিন্তা করে কাজে হাত দেন। একজন আতকর্মসংস্থানকারী ব্যক্তি তখনই একজন উদ্যোক্তায় পরিণত হবেন, যখন তিনি নিজের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সমাজের আরও কয়েকজনের কর্মসংস্থানের চিন্তা নিয়ে কাজ শুরু করেন, ঝুঁকি আছে জেনেও এগিয়ে যান এবং একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন| সে ক্ষেত্রে সকল ব্যবসায় উদ্যোক্তাকে আত্মকর্মসংস্থানকারী বলা গেলেও সকল আত্মকর্মসংস্থানকারীকে ব্যবসায় উদ্যোক্তা বলা যায় না।


ঙ) ব্যবসায় উদ্যোগের ধারণা বিশ্লেষণ করলে যে সকল বৈশিষ্ট্য ও কার্যাবলি লক্ষ করা যায় তা হলো: 

১। এটি ব্যবসায় স্থাপনের কর্ম উদ্যোগ| ব্যবসায় স্থাপন সংক্রান্ত সকল কর্মকাণ্ড সফলভাবে পরিচালনা করতে ব্যবসায় উদ্যোগ সহায়তা করে।

২। ঝুঁকি আছে জেনেও লাভের আশায় ব্যবসায় পরিচালনা । ব্যবসায় উদ্যোগ সঠিকভাবে ঝুঁকি পরিমাপ করতে এবং পরিমিত ঝুঁকি নিতে সহায়তা করে।

৩। ব্যবসায় উদ্যোগের ফলাফল হলো একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান| এর মানে হলো ব্যবসায় উদ্যোগ সম্পর্কে ধারণা কোনো চিন্তা-ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে সহায়তা করে।

8। ব্যবসায় উদ্যোগের অন্য একটি ফলাফল হলো একটি পণ্য বা সেবা।

৫। ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটি সফলভাবে পরিচালনা করা।

৬। নিজের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। ব্যবসায় উদ্যোগের মাধ্যমে একজন উদ্যোক্তা নিজের উপার্জনের ব্যবস্থা করতে পারেন।

৭। অন্যদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা: ব্যবসায় উদ্যোগ মালিকের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অন্যদের জন্যও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেন।

৮। নতুন সম্পদ সৃষ্টি করা: ব্যবসায় উদ্যোগের মাধ্যমে যেমন মানবসম্পদ উন্নয়ন হয় তেমনি মলধনও গঠন হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *