SSC 2021 Economics Assignment Answer All Week | Assignment Answer SSC 2021

Economics subject has been included in your 1st assignment. You have to do a total of eight Economics assignments. You will be assessed and numbered by solving this assignment. Assignment Marks, MCQ Result will be made on the basis of SSC Economics Result. Also if it is not possible to take the exam, then only the number of this assignment will be the Marks of Economics Subject in your SSC exam. So your assignment has to be creative and accurate.
‘Your Economics assignment has been prepared according to the short syllabus. Your SSC exam will be conducted according to this short syllabus. However, it will be in MCQ method. The Assignment Marks will be 50 and the MCQ Marks will be 50.
SSC 2021 Economics Assignment Answer 1st Week
Answer:
বিভিন্ন অর্থ ব্যবস্থার তুলনামূলক সুবিধা ও অসুবিধা মূল্যায়ন
মানবিক বিভাগের সকল বিষয়ের সব এসাইনমেন্ট এর সমাধান দেখতে ক্লিক করুন
বাংলাদেশের অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিগত ও সরকারী উদ্যোগ সম্মিলিতভাবে কাজ করে”- উক্তিটিতে নির্দেশিত অর্থব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য উল্লেখপূর্বক বিভিন্ন অর্থব্যবস্থার তুলনামূলক সুবিধা ও অসুবিধা মূল্যায়ন করা হলো:
বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ধারণা :
মোট উৎপাদিত সম্পদের অর্থ কীভাবে উৎপাদনের উপাদানগুলোর মধ্যে বন্টন করা হয়, তা নির্ভর করে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বা Economic System এর উপর যে ব্যবস্থা বা কাঠামোর আওতায় উৎপাদনের উপাদান সমূহের মালিকানা নির্ধারিত হয় এবং উৎপাদন- প্রক্রিয়া, উৎপাদিত সম্পদের বণ্টন ও ভোগ করিয়া সম্পাদিত হয় তাকে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলে। এ ব্যবস্থা জনগণের অর্থনৈতিক কার্যাবলি এবং অর্থনীতি বিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনগত কাঠামোর সময়ে গড়ে উঠে।
বর্তমানে বিশে চার ধরণের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা কার্যকর আছে – ধনতান্ত্রিক, সমাজতান্ত্রিক, মিশ্র ও ইসলামি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা।
ধনতান্ত্রিক অথনৈতিক ব্যবস্থা:
ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় উৎপাদনের উপাদান সমূহ বাক্তি মালিকানাধীন উদ্যোগ গ্রহণে ব্যক্তি একক বা গোষ্টিবদ্ধ স্বাধীনতা, সর্বাধিক মুনাফা অর্জন, শ্রমিক শোষণ ইত্যাদি ধনতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য।
সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা :
সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় উৎপাদনের উপকরণসহ সকল সম্পদ রাষ্টিয় মালিকানাধীন । অর্থনৈতিক কাযাবলীতে সরকারী নির্দেশনা ভোক্তার স্বাধীনতার অভাব, অর্থনৈতিক কার্যাবলির মুল উদ্দেশ্য সর্বাধিক মুনাফা অর্জন, আয় বষ্টন ইত্যাদি সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বৈশিষ্ট।
মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা:
ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পাশাপাশি বর্তমান বিশ্বে আর একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বিরাজমান । সেটি হচ্ছে মিশ্র অর্থনীতি এটি ধনতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির কিছু কিছু বৈশিষ্ট সমন্বয়ে গড়ে উঠা একটি ব্যবস্থা।
ইসলামী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা:
ইসলামী অর্থব্যবস্থা মানুষের জীবনের সামগ্রিক আলোচনা করে। সৃষ্টিকর্তা মানুষ সৃষ্টি করেছেন, মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সব রকম দ্রব্যসামগ্রী, জীবজস্তু, পরিবেশ ও বস্তুসমূহ সৃষ্টি করেছেন। মানুষ সৃষ্টি কর্তাপ্রদত্ত এ সকল বস্তু সামগ্রী ও পরিবেশ-প্রকৃত ব্যবহার করে ধর্মানুমোদিতভাবে অধিকতর সম্পদ সৃষ্টি ও ভোগ করবে। এটাই ইসলামের বিধান।
মানবিক বিভাগের সকল বিষয়ের সব এসাইনমেন্ট এর সমাধান দেখতে ক্লিক করুন
মিশ্র অর্থ ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য:
মিশ্র অর্থ ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে –
১ সম্পদের মালিকানা :
এর অর্থ ব্যবস্থার একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সম্পদের রাষ্টীয় মালিকানার পাশাপাশি ব্যক্তি মালিকানা বিদামান। আবার উৎপাদনের উপায়সমূহের ক্ষেত্রে ব্যক্তি মালিকানার পাশাপাশি সরকারি মালিকানা স্বীকৃত।
২. ব্যক্তিগত ও সরকারী খাতের সহাবস্থান:
মিশ্র অর্থনীতিতে ব্যাক্তিগত ও সরকারি খাত পাশাপাশি অবস্থান করে। এখানে ব্যক্তিগত ও সরকারি খাতের শিল্প কারখানা একত্রে কাজ করে।
এই অর্থনীতিতে ব্যক্তিগত খাতে মুনাফা অর্জনই লক্ষ্য । তবে সরকারী খাতে সামাজিক কল্যাণকে বেশী প্রধান্য দেয়া হয়। অনেক সময় ব্যক্তিগত খাতের উপর সরকারি নিয়ন্ত্রণ ও বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়।
৩, অর্থনৈতিক পরিকল্পনা:
এখানে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ হয়। তবে বেসরকারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন পরিকল্পনাকে রাষ্টীয় পরিকল্পনার সাথে সমন্বয় করা হয়।
8. দাম ব্যবস্থা:
এ অর্থ ব্যবস্থায় বাজার অর্থনীতির দাম ব্যবস্থাকে অনুসরণ করা হয়। অথ্যাৎ এখানে দ্রব্য বা সেবার দাম স্বয়ংক্রিয়ভাবে চাহিদা যোগানের মাধ্যমে নির্ধারিত হ়য়। তবে সরকার রাষ্টীয় প্রয়োজনে দাম ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
৫. ব্যক্তি স্বাধীনতা:
মিশ্র অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষিত হয়। এখানে ব্যক্তি কী পরিমান ভোগ করবে এবং উৎপাদক কী দ্রব্য উৎপাদন করবে সে ক্ষেত্রে রাষ্ট খুব বেশি হস্তক্ষেপ করে না। তবে সমাজের স্বার্থে কোন কোন সময় ভোগ বা বিপণনের ক্ষেত্রে সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করে।
৬. বষ্টন ব্যবস্থা:
যেহেতু এ অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তি মালিকানা বিদ্যমান, সেহেতু জাতীয় আয়ের সুযম বন্টন এখানে নিশ্চিত করা কঠিন।
৭. মুদ্রাস্ফীতির উপস্থিতি:
মিশ্র অর্থনীতিতে যেহেতু ব্যক্তি উদ্যোগ স্বীকৃত এবং মুনাফা ভিত্তিক উৎপাদন কাযক্রম পরিচালিত হয়, তাই অনেক সময় অতি উৎপাদন বা কম উৎপাদন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতিও দেখা দিতে পারে।
বিভিন্ন অর্থব্যবস্থার তুলনামূলক সুবিধা ও অসুবিধা
নিম্নে বিভিন্ন অর্থব্যবস্থার তুলনামূলক সুবিধা ও অসুবিধা আলোচনা করে মূল্যায়ন করা হল-
ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় উৎপাদন, বন্টন ও দাম প্রক্রিয়া এবং উৎপাদনের উপায়সমূহ সম্পূর্ণ ব্যক্তি মালিকানাধীন। এখানে সর্বাধিক মুনাফা অর্জনের লক্ষে উৎপাদন কাজ পরিচালিত হয়। বাজার নিয়ন্ত্রিত হয় স্বয়ংক্রিয় দাম ব্যবস্থার মাধ্যমে এখানে ভোক্তা বা ফার্মের সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বাধীনতা থাকে। এ কারণে এ ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় যে দ্রব্য বা সেবা উৎপাদনের মুনাফা বেশি, ফার্মসমূহ সেই পণ্য উৎপাদনকরে ।
এভাবে “কি’ প্রশ্নটির উত্তর পাওয়া যায়। আবার প্রযুক্তিতে ব্যয় কম হবে বা উৎপাদন লাভজনক হবে সে পদ্ধাতিতেই উৎপাদন হবে। এভাবে কি প্রশ্নটির উত্তর পাওয়া যায়। আবার প্রযুক্তিতে ব্যয় কম হবে বা উৎপাদন লাভজনক হবে সে পদ্ধতিতে উৎপাদন হবে। যা “কিভাবে” প্রশ্নটির সমাধান করে। অন্যদিক ভোক্তাদের সামর্থের উপর নির্ভর করে সামাজিক উৎপাদন তাদের মধ্যে বন্টিত হয়। এভাবে “কার জন্য প্রশ্নটির উত্তর পাওয়া যায়।
সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় রাষ্টীয় সকল ক্ষমতার ধারক । এখানে অর্থনৈতিক কার্যক্রম যথা- উৎপাদন, বন্টন, বিনিময় ও ভোগের ক্ষেত্রে রাষ্টীয় নিয়ন্ত্রণ বিদ্যমান, এই ধরনের অর্থব্যবস্থায় রাষ্ট কিংবা কেন্দ্রীয় সরকার মৌলিক তিনটি সমস্যার সমাধান করে দেয়। এখানে একদিকে ভোক্তা যেমন তার ইচ্ছা ও সামর্থ অনুযায়ী দ্রব্য বা সেবা ভোগ করতে পারেনা অন্যদিকে উৎপাদকও দ্রব্যের চাহিদা ও সামর্থ অনুসারে দ্রব্য উৎপাদন করে। এখানে কী উৎপাদিত হবে এবং কী পরিমান উৎপাদিত হবে তা কেন্দ্রীয় ভাবে নির্দেশিত হয়। একইভাবে, কিভাবে দ্রব্য সামগ্রী উৎপাদিত হবে বা কোন প্রযুক্তি ব্যবহৃত হবে তাও কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিচালিত হয়। সবশেষে আয় ও সম্পদের বন্টন নির্ধারিত হয় কেন্দ্রীয়ভাবে সরকার কর্তৃক । সমাজতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিগত মুনাফা সর্বোচ্চকরণ নয় বরং সামাজিক কল্যাণের জন্য সকল অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়।
মিশ্র অর্থব্যবস্থায় সরকারি ও ব্যক্তিগত খাত পাশাপাশি অবস্থান করে। তাই এখানে উৎপাদন, বিনিময়, বন্টন ও ভোগের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার পাশাপাশি সরকারি নিয়ন্ত্রণ ও বজায় থাকে।
অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে ব্যক্তিগত ও সরকারি খাতের ভূমিকা নির্দিষ্ট করা হয়। যেমন- গুরুত্বপূর্ণ খাতসমৃহ সরকারি নিয়ন্ত্রণে রেখে অন্যান্য খাত সমূহকে উদার বেসরকারীকরণ করা হয়। এ অর্থব্যবস্থায় কী উৎপাদন হবে এবং কিভাবে উৎপাদন হবে এ সম্পর্ক সিদ্ধন্ত গ্রহণে ও বাস্তবায়নে সরকারি ও ব্যক্তিগত খাত উভয়ের ভূমিকা বিদ্যমান। সম্পদের মালিকানা ও ভোগের ক্ষেত্রে ব্যক্তি স্বাধীনতা থাকলেও সম্পদ ও আয় বন্টনের ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ন্ত্রণও বজায় থাকে। এখানে স্বয়ক্রিয় দাম ব্যবস্থা ও সরকার নির্দেশে দাম ব্যবস্থা পরিচলিত হয়।
ইসলামী অর্থব্যবস্থায় সকল অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ইসলামের বিধিবিদান অনুযায়ী পরিচালিত হয়। এখানে ভোক্তা তার পছন্দ অনুযায়ী যে কোন দ্রব্য ইচ্ছামত ভোগ করতে পারেনা । আবার উৎপাদন ও তার ইচ্ছা ও সাম্য অনুযায়ী দ্রব্য উৎপাদন করতে পারেনা । উৎপাদন ও ভোগের ক্ষেত্রে করআন ও সুন্নাহ নির্দেশিত বিধি অনুসরণ করে চলতে হয়। এক্ষেত্রে হালাল-হারামের বিষয়টি প্রধান্য দেয়া হয়। ইসলামী অর্থব্যবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে দ্রব্যমূ্ল্য বৃদ্ধি করা যায়না । এখানে উৎপাদনকারী বা বিক্রেতা শোষণমুক্ত দামে দ্রব্য বিক্রি করবে যাতে তার ন্যায্য মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি ভোক্তা ঔ দ্রব্য ক্রয় করে তার উপযোগ সর্বোচ্চকরণ করতেপারে। এভাবে আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। এ অর্থব্যবস্থায় উৎপাদিত দ্রব্যের উদ্বৃত্ত অংশ যাকাত ও সাদকাহ এর মাধ্যমে বন্টন করে সামাজিক ও কল্যাণ ও বৈষ্যম্য দূর করা যায়।
যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাটি ভালো তার স্বপক্ষে যুক্তি
উপরে উল্লেখিত চারটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মধ্যে আমার দৃষ্টিতে মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সবচেয়ে ভালো। আমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা হলো:
এই অর্থব্যবস্থায় অন্য সকল অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মিশ্রণ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও সরকারি উভয় মালিকানা থাকবে । তবে ব্যক্তি মালিকানা থাকলেও সেক্ষেত্রে সরকারি হস্তক্ষেপ থাকবে এবং কোন পন্য কী পরিমান উৎপাদন করতে হবে ও দাম কেমন হবে এসব কিছুর ক্ষেত্রে- সরকারি কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থার আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো ভোক্তার চাহিদা ও ইচ্ছা অনুযায়ী পণ্য উৎপাদন করা। সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগীতা থাকা এই অর্থনৈতিক ব্যবস্থার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট । এক্ষেত্রে একটা নির্দিষ্ট ও উপযুক্ত পরিকল্পনা অনুযায়ী অর্থনৈতিক কাযক্রম গ্রহণ করা হয়। সকল উন্নয়নশীল দেশে এরকম অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রচলন রয়েছে।
মানবিক বিভাগের সকল বিষয়ের সব এসাইনমেন্ট এর সমাধান দেখতে ক্লিক করুন
Assignment Answer More Subject
Science Group Assignment All Week
Business Group Assignment All Week
Humanities Group Assignment All Week
SSC 2021 Economics Assignment 3rd Week
SSC 2021 Economics Assignment Answer 3rd Week
১ অর্থনৈতিক সম্পদের ধারণা:
আমরা সবাই সম্পদ শব্দটির সাথে কম-বেশি পরিচিত। আমাদের প্রতিদিনের আলোচনায় অনেক ভাবে সম্পদ শব্দটি আসে। যেমন, কামাল আহমেদ অনেক সম্পদের মালিক। একজন অর্থনীতিবিদের কাছে সব জিনিস সম্পদ নয়। অর্থনীতিতে সম্পদ হলো সেই সমন্ত জিনিস বা দ্রব্য, যেগুলো পেতে চাইলে অর্থ ব্যয় করতে হয়।
২) সম্পদের চারটি বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা:
কোনো জিনিসকে যদি অর্থনীতিতে সম্পদ বলতে হয়, তবে তার চারটি বৈশিষ্ট্য থাকা আবশ্যক।
বৈশিষ্টগুলো হলো:
১) উপযোগ
২) অপ্রাচুর্যতা
৩) হস্তান্তর যোগ্যতা
৪) বাহ্যিকতা
নিন্মে এগুলোর ব্যাখ্যা প্রদান করা হলোঃ:
১। উপযোগ: উপযোগ বলতে বোঝায় কোনো দ্রব্যের মানুষের অভাব মেটানোর ক্ষমতা । কোনো দ্রব্য সম্পদ হতে হলে সেই দ্রব্যের উপযোগ সৃষ্টির ক্ষমতা থাকতে হবে। উপযোগ নেই এমন দ্রব্য বা সেবা মানুষ অর্থ দিয়ে কেনে না।
২। অপ্রাচূর্যতা: কোনো দ্রব্য সম্পদ হতে হলে তার পরিমাণ ও যোগান সীমিত থাকবে যেমন: নদীর পানি, বাতাস প্রভৃতির যোগান প্রচুর এগুলো সম্পদ নয়। তবে শ্রম ব্যবহার করে পানিকে বোতলবন্দি করলে পানি সম্পদে পরিনত হয়। পানি সম্পদ অন্যদিকে জমি, গ্যাস, যন্ত্রপানি-এগুলো চাইলেই প্রচুর পাওয়া সম্ভব নয়। অর্থাৎ যেগুলো আমাদের কাছে অপর্যাপ্ত দ্রব্য এগুলো ও সম্পদ ।
৩। হস্তান্তর যোগ্যতা: সম্পদের আরও একটি বৈশিষ্ট্য হলো এর হস্তান্তর যোগ্যতা। হস্তান্তর যোগ্যতা বলতে বোঝায় হাত বদল হওয়া। অর্থাৎ যে দ্রব্যের মালিকানা বদল বা পরিবর্তন করা যায় তা-ই হলো সম্পদ। বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিভাকে অর্থনীতির ভাষায় সম্পদ বলা যাবে না। কারণ তার প্রতিভাকে হস্তান্তর বা মালিকানা বদল করা সম্ভব নয়। আবার টিভির মালিকানা বদল করা যায় বলে টিভি সম্পদ।
৪। বাহ্যিকতা: যে সমন্ত দ্রব্য মানুষের অভ্যন্তরীন গুণ বোঝায় তা অর্থনীতির ভাষায় সম্পদ নয় তার অস্তিত্ব আমরা উপলদ্ধি করতে পারি না।
যেমন: কোনো ব্যক্তির কম্পিউটারের উপর বিশেষ সৌন্দর্য বা চারিত্রিক গুণাবলিকে সম্পদ বলা যাবে না। তবে পুঁজিবাদী বাজার অর্থনীতিতে নানাভাবে এগুলোকেও বিক্রয়যোগ্য সম্পদে পরিণত করা সম্ভব।
৩) সম্পদের চারটি বৈশিষ্ট্যর আলোকে ভূমি, নদীর পানি ও সূর্যোর আলো সম্পদ কিনা তা নিম্নে দেখানো হলো:
কোন জিনিসকে অর্থনীতিতে সম্পদ বলতে হলে ঐ জিনিসের চারটি বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে – উপযোগ, অপ্রাচূর্যতা, হস্তান্তর যোগ্যতা ও বাহ্যিকতা।
১) ভূমি: ভূমির মানুষের অভাব পূরণের ক্ষমতা তথা উপযোগ রয়েছে। এটি মানুষ অর্থ দিয়ে কিনতে পারে। এর হার যোগ্যতা আছে তথা মালিকানা পরিবর্তন করা যায়। এবং এটির বাহ্যিকতা রয়েছে তাই ভূমি অর্থনীতিতে সম্পদ হিসেবে গণ্য হবে।
২) নদীর পানি: নদীর পানি অর্থনীতিতে সম্পদ বলে গণ্য হবে না। কারন এটার যোগান প্রচুর। তবে নদীর পানিকে বোতলবন্দী করে বিক্রয় করার উপযুক্ত করলে তখন সেটা সম্পদ বলে গণ্য হবে।
৩) সূর্যের আলো: সূর্যের আলো অর্থনীতিতে সম্পদ বলে গণ্য হবে না। কারণ সূর্যের আলো কেউ টাকা দিয়ে কিনবে না, এর হস্তান্তর যোগ্যতা নেই, ও এটা অপ্রচুর নয়। তবে সূর্যের আলোকে কোন শক্তিতে রূপান্তরিত করে সেটিকে বিক্রয় যোগ্য করতে পারলে সেটা সম্পদ হতে পারে।
৪) উৎপত্তির ভিত্তিতে সম্পদের শ্রেণিবিভাগ উৎস বা উৎপত্তির দিক থেকে সম্পদ তিন প্রকার ।যথা:
১) প্রাকৃতিক সম্পদ: প্রাকৃতিক কাছ থেকে পাওয়া যেসব দ্রব্য মানুষের প্রয়োজন মেটায়, তাকে প্রাকৃতিক সম্পদ বলে। যেমন- ভূমি, বনভূমি, খনিজ সম্পদ, নদ-নদী ইত্যাদি ।
২) মানবিক সম্পদ: মানুষের বিভিন্ন প্রকার যোগ্যতা ও দক্ষতাকে মানবিক সম্পদ বলা হয়। যেমন – শারীরিক যোগ্যতা, প্রতিভা, উদ্যোগ, দক্ষতা, সাংগঠনিক ক্ষমতা ইত্যাদি মানবিক সম্পদ। 1
৩) উৎপাদিত সম্পদ: প্রাকৃতিক ও মানবিক সম্পদ কাজে লাগিয়ে যে সম্পদ সৃষ্টি হয় তাকে উৎপাদিত সম্পদ বলা হয়। যেমন- কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি, কলকারখানা, যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ইত্যাদি মানুষ তৈরি করে বলে এগুলো উৎপাদিত সম্পদ
সমাপ্ত
পরবর্তী সপ্তাহের এসাইনমেন্ট প্রকাশ করা হলে এখানে দেওয়া হবে, সঙ্গে থাকুন