SSC 2021 Geography Assignment Answer All Week | SSC Assignment Answer 2021

Dear student,  hope you have started preparing your SSC 2021 Geography Assignment Answer. We are also preparing SSC Geography Assignment 2021 Answer. Hopefully, we can create a nice assignment solution on Geography if we combine it with each other.

Geography subject has been included in your 1st assignment. You have to do a total of eight Geography assignments. You will be assessed and numbered by solving this assignment. Assignment Marks, MCQ Result will be made on the basis of SSC Geography Result. Also if it is not possible to take the exam, then only the number of this assignment will be the Marks of Geography Subject in your SSC exam. So your assignment has to be creative and accurate.

‘Your Geography assignment has been prepared according to the short syllabus. Your SSC exam will be conducted according to this short syllabus. However, it will be in MCQ method. The Assignment Marks will be 50 and the MCQ Marks will be 50.

SSC 2021 Geography Assignment 2nd Week (1st)

প্রথম অধ্যায়: ভূগোল ও পরিবেশ

অ্যাসাইনমেন্ট: ভূগােল ও পরিবেশের সম্পর্ক বিষয়ক প্রতিবেদন প্রণয়ন

শিখনফল/বিষয়বস্তু:

ভূগােল ও পরিবেশের ধারণা ব্যাখ্যা। করতে পারবে

ভূগােলের পরিধি বর্ণনা করতে পাবে ভূগােল ও পরিবেশের উপাদানসমূহের আন্ত:সম্পর্ক বিশ্লেষণ করতে পাবে।

মানবিক বিভাগের সকল বিষয়ের সব এসাইনমেন্ট এর সমাধান দেখতে এখানে ক্লিক করুন

SSC 2021 Geography Assignment Answer 2nd Week (1st)

এসএসসি ভূগোল ও পরিবেশ ১ম এসাইনমেন্ট উত্তর
ভূগােল ও পরিবেশের সম্পর্ক

‘ক : ভূগােলের ধারণা:
ইংরেজি ‘Geography শব্দটি থেকে ভূগােল শব্দ এসেছে। প্রাচী গ্রিসের ভূগােলবিদ ইরাটোসথেনিস প্রথম এই শব্দটি ব্যবহার করেন। ‘Geo’ এবং Graphy শব্দ দুটি মিলে হয়েছে Geography। এর অর্থ হলাে পৃথিবীর বর্ণনা। পৃথিবী আবার মানুষের আবাসভূমি। আমরা পৃথিবীতে বাস করি। মানুষের আবাসভূমি হিসেবে পৃথিবীর বর্ণনা হলাে ভূগােল। অধ্যাপক ম্যাকনি এর মতে, মানুষের আবাসভূমি হিসেবে পৃথিবীর আলােচনা বা বর্ণনাকে বলেছেন ভূগােল।
 
তার মতে ভৌত ও সামাজিক পরিবেশে মানুষের কর্মকাণ্ড ও জীবনধারা নিয়ে যে বিষয় আলােচনা করে তাই ভূগােল। অধ্যাপক কার্ল রিটার ভূগােলকে বলেছেন পৃথিবীর বিজ্ঞান। ভূগােল একদিকে প্রকৃতির বিজ্ঞান আবার অন্যদিকে পরিবেশ ও সমাজের বিজ্ঞান প্রকৃতি, পরিবেশ ও সমাজ সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান হলাে ভূগােলের আলােচ্য বিষয়। রিচার্ড হার্টাের্ন বলেন, পৃথিবীপৃষ্ঠের পরিবর্তনশীল বৈশিষ্ট্যের যথাযথ যুক্তিসংগত ও সুবিন্যস্ত বিবরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয় হলাে ভূগােল।
 
প্রশ্ন ‘খ’ : পরিবেশের ধারণা :- 
মানুষ যেখানেই বাস করুক তাকে ঘিরে একটি পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিরাজমান। প্রকৃতির সকল দান মিলেমিশে তৈরি হয় পরিবেশ। নদী-নালা, সাগর-মহাসাগর, পাহাড়পর্বত, বন-জঙ্গল, ঘর-বাড়ি, রাস্তাঘাট, উদ্ভিদ, প্রাণী, পানি, মাটি ও বায়ু নিয়ে গড়ে ওঠে পরিবেশ। কোনাে জীবরে চারপাশের সকল জীব ও জড় উপাদানের সর্বসমেত প্রভাব ও সংঘটিত ঘটনা হলাে ঐ জীবের পরিবেশ। পরিবেশ বিজ্ঞানী আর্মসের এর মতে, জীবসম্প্রদায়ের পারিপার্শ্বিক জৈব ও প্রাকৃতিক অবস্থাকে পরিবেশ বলে।

প্রশ্ন (গ): ভূগােলের পরিধিঃ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকাশ, নতুন নতুন আবিস্কার, উদ্ভাবন, চিন্তা-ধারণার বিকাশ, সমাজের মূল্যবােধের পরিবর্তন ভূগােলের পরিধিকে অনেক বিস্তৃত করেছে। এখন নানান রকম বিষয় যেমন ভূমিরূপবিদ্যা, আবহাওয়াবিদ্যা, সমুদ্রবিদ্যা, মৃত্তিকাবিদ্যা, প্রাণিবিদ্যা, সমাজবিদ্যা, অর্থনীতি, রাজনীতি ইত্যাদি ভূগােল বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। নিচে ছকের সাহায্যে ভূগােলের বিভিন্ন শাখা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হলাে:
 
ক) প্রাকৃতিক ভূগােল: ভূগােলের যে শাখায় ভৌত পরিবেশ ও এর মধ্যে কার্যরত বিভিন্ন প্রক্রিয়া অন্তর্ভূক্ত থাকে তাকে প্রাকৃতিক ভূগােল বলে। পৃথিবীর ভূমিরূপ, এর গঠন প্রক্রিয়া, বায়ুমণ্ডল, বারিমণ্ডল, জলবায়ু ইত্যাদি প্রাকৃতিক ভূগােলের আলােচ্য বিষয়।

খ) মানব ভূগােল: পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন পরিবেশে মানুষ কীভাবে বসবাস করছে, কীভাবে জীবনযাত্রা নির্বাহ করছে, কেন এভাবে জীবনযাত্রা নির্বাহ করছে তার কার্যকারণ অনুসন্ধান মানব ভূগোেলর আলােচ্য বিষয়।



 
প্রশ্ন ‘ঘ’ : ভূগােলের শাখা


প্রশ্ন ‘ঙ’ : পরিবেশের উপাদানঃ
পরিবেশের উপাদান দুই প্রকার। যেমন: জড় উপাদান ও জীব উপাদান। যাদের জীবন আছে যারা খাবার খায়, যাদের বুদ্ধি আছে, অনু আছে, মৃত্যু আছে। তাদে বলে জীব। গাছপালা, পশুপাখি, কীট পতঙ্গ, মানুষ ও অন্যান্য প্রাণী হলাে জীব। এরা পরিবেশের জীব উপাদান। জীবদের নিয়ে গড়া পরিবেশ হলাে জীব পরিবেশ। মাটি, পানি, বায়ু, পাহাড়, পর্বত, নদী, সাগর, উষ্ণতা হলাে পরিবেশের জড় উপাদান। এই জড় উপাদান নিয়ে গড়া পরিবেশ হলাে জড় পরিবেশ।

প্রশ্ন চ : ভূগােল ও পরিবেশের আন্তঃ সম্পর্ক:
পৃথিবী আমাদের আবাসভূমি। মানুষের আবাসভূমি হিসেবে পৃথিবীর বর্ণনা হলাে ভূগােল। প্রকৃতি, পরিবেশ ও সমাজের সাথে রয়েছে ভূগােলের নিবিড় সম্পর্ক। পৃথিবীপৃষ্ঠের পরিবর্তনশীল বৈশিষ্ট্যের যথাযথ যুক্তিসংগত ও সুবিন্যস্ত বিবরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিষয় হলাে ভূগােল। পৃথিবীর পরিবেশের সীমার মধ্যে থেকে মানুষের বেঁচে থাকার যে সংগ্রাম চলছে সে সম্পর্কে যুক্তিপূর্ণ আলােচনা ভূগােলের মাধ্যমেই করা হয়। মানুষ যেখানেই বাস করুক তাকে ঘিরে একটি পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিরাজমান। প্রকৃতির সকল দান মিলেমিশে তৈরি হয় পরিবেশ।

নদী-নালা, সাগর-মহাসাগর, পাহাড়-পর্বত, রাস্তাঘাট, উদ্ভিদ, প্রাণী, পানি, মাটি ও বায়ু নিয়ে গড়ে ওঠে পরিবেশ। এই পরিবেশে বসবাস করতে গিয়ে আমরা নানান সমস্যার মুখােমুখি হই। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলবায়ুর পরিবর্তন, পাহাড়, নদী, সাগর, প্রাকৃতিক পরিবর্তন, সমভূমি, মরুভূমি ইত্যাদি প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষভাবে আমাদের উপর প্রভাব ফেলে। এইসব নানাবিধ সমস্যা ও পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে পারার পদ্ধতিগত আলােচনা ও সমাধান আমরা ভূগােলের মাধ্যমে পেয়ে থাকি। তাই ভূগােল ও পরিবেশের সাথে আন্ত: সম্পর্ক রয়েছে।

মানবিক বিভাগের সকল বিষয়ের সব এসাইনমেন্ট এর সমাধান দেখতে এখানে ক্লিক করুন

Assignment Answer More Subject


SSC 2021 Geography Assignment Answer 2nd Week (2nd)


এসএসসি ভূগোল ও পরিবেশ ৩য় সপ্তাহের ২য় এসাইনমেন্ট উত্তর
তারিখ : ২১ জুলাই, ২০২১
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক
মণিপুর উচ্চ বিদ্যালয়
ঢাকা।
বিষয় : “সূর্যকে পরিক্রমণকালে পৃথিবীর চারটি অবস্থায় বাংলাদেশে বিরাজমান ঋতু পরিবর্তন” শীর্ষক প্রতিবেদন।
জনাব, 
বিনীত নিবেদন এই যে, আপনার আদেশ নং ম.উ.বি ৮৭৪-৯ তারিখ : ১৮ জুলাই, ২০২১ অনুসারে” সূর্যকে পরিক্রমণকালে পৃথিবীর চারটি অবস্থায় বাংলাদেশে বিরাজমান ঋতু পরিবর্তন শীর্ষক প্রতিবেদনটি নিম্নে পেশ করছি।
 
সূর্যকে পরিক্রমণকালে পৃথিবীর চারটি অবস্থায় বাংলাদেশে বিরাজমান ঋতু পরিবর্তন
 
ক ) ঋতু পরিবর্তনের কারণ :
(১) পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে দিবারাত্রির তারতম্যের জন্য উত্তাপের হ্রাস – বৃদ্ধি : পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে সূর্য পৃথিবীর যে গােলার্ধের নিকট অবস্থান করে তখন সেই গােলার্ধে দিন বড় এবং রাত ছােট। তার বিপরীত গােলার্থে রাত বড়, দিন ছােট। পৃথিবী দিনের বেলায় তাপ গ্রহণ করে ফলে ভূপৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয় এবং রাতের বেলায় বিকিরণ করে শীতল হয়। তখন একটি স্থানে বড় দিনে ভুপৃষ্ঠ যে তাপ গ্রহণ করে ছােট রাতে সে তাপ পুরােটা বিকিরণ করতে পারে না। ঐ স্থানে সঞ্চিত তাপের কারণে আবহাওয়া উষ্ণ হয় এবং তাতে গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়া পরিলক্ষিত হয়। বিপরীত গােলার্ধেরাত বড় এবং দিন ছােট হওয়াতে দিনের বেলায় যে তাপ গ্রহণ করে রাতের বেলায় সব তাপ বিকিরণ কত্রে ঠান্ডা অনুভূত হয় তখন শীতকাল।
(২) পৃথিবীর গােলাকার আকৃতি : পৃথিবী গােল, তাই পৃথিবীর কোথাও সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পড়ে আবার কোথাও তির্যকভাবে পড়ে। ফলে তাপমাত্রার পার্থক্য হয় এবং ঋতু পরিবর্তিত হয়।
(৩) পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষগণ : পৃথিবীর আবর্তন পথ উপবৃত্তাকার তাই বছরের বিভিন্ন সময় সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব কমবেশি হয়। এতে তাপমাত্রার পার্থক্য হয়, তাই ঋতু পরিবর্তিত হয়।
(৪) পৃথিবীর কক্ষপথে কৌণিক অবস্থান : সূর্যকে পরিক্রমণের সময় নিজ কক্ষতলের সঙ্গে পৃথিবীর মেরুরেখা সমকোণে না থেকে ৬৬.৫° কোণে হেলে একই দিকে অবস্থান করে। এতে বছরে একবার পৃথিবীর উত্তর মেরু ও দক্ষিণ মেরু সূর্যের নিকটবর্তী হয়। যে গােলার্ধ যখন সূর্যের দিকে ঝুঁকে থাকে সে গােলার্ধে সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয়। তার তাপমাত্রা তখন বেশি হয় এবং দূরে গেলে তাপমাত্রা কম হয়, ফলে ঋতু পরিবর্তন ঘটে।
(৫) বার্ষিক গতির কারণে : পৃথিবীর বার্ষিক গভির জন্য সূর্যকিরণ বিভিন্ন স্থানে কমবেশি পড়ার কারণে বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রার পার্থক্য ঘটছে। ফলে বিভিন্ন স্থানে জলবায়ুর বিভিন্ন হয়। একে ঋতু পরিবর্তন বলে।
খ) পৃথিবীর চারটি অবস্থা : আমরা জানি, পৃথিবীতে চারটি ঋতু গ্রীষ্মকাল, শরৎকাল, শীতকাল ও বসন্তকাল। সূর্যকে পরিক্রমণকালে পৃথিবীর চারটি অবস্থা থেকে ঋতু পরিবর্তনের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়।

১. উত্তর গােলার্ধে গ্রীষ্মকাল ও দক্ষিণ গােলার্ধে শীতকাল : 
২১ এ মার্চের পর থেকে পৃথিবী তার নিজ কক্ষপথে এগিয়ে চলার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর মেরু ক্রমশ সূর্যের দিকে হেলতে থাকে। এর সঙ্গে সঙ্গে যত দিন যায় তত উত্তর মেরুতে আলােকিত অংশ বাড়তে থাকে | এভাবে ২১ এ জুনে গিয়ে সূর্য কর্কটক্রান্তি রেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দিতে থাকে। ফলে ২১ জুন উত্তর গােলার্ধে বড় দিন এবং ছােট রাত হয়। ঐ দিনই সূর্যের উত্তরায়ণের শেষ এবং তার পরের দিন থেকে পুনরায় সূর্য দক্ষিণ দিকে আসতে থাকে। দিন বড় হওয়ার কারণে উত্তর গােলার্ধে ২১ জুনের দেড় মাস পূর্ব থেকেই গ্রীষ্মকাল শুরু হয় এবং পরে দেড় মাস পর্যন্ত গ্রীষ্মকাল স্থায়ী হয়। এই সময়ে দক্ষিণ গোলার্ধে ঠিক বিপরীত অবস্থা দেখা যায় অর্থাৎ শীতকাল অনুভূত হয়। এ সময় সূর্য হেলে থাকার কারণে এ গােলার্ধে সূর্য কম সময় ধরে কিরণ দেয়। ফলে দিন ছােট এবং রাত বড় হয়। দক্ষিণ গােলার্ধে এ সময়কে শীতকাল বলে।
২. উত্তর গােলার্ধে শরৎকাল দক্ষিণ গােলার্ধে বসন্তকাল :
২১ জুন থেকে দক্ষিণ মেরু সুর্যের দিকে হেলতে থাকে উত্তর গােলার্ধের অংশগুলাে কম কিরণ পেতে থাকে এবং দক্ষিণ গােলার্ধের অংশগুলাে বেশি কিরণ পেতে থাকে। এভাবে ২৩ সেপ্টেম্বর পূর্ব নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। তাই এ সময় পৃথিবীর সর্বত্র দিন রাত সমান হয়। দিনের বেলায় যে তাপ আসে রাত সমান হওয়ায় একই পরিমাণ তাপ বিকিরিত হওয়ার সুযােগ পায়। ফলে আবহাওয়া তে ঠান্ডা গরমের পরিমাণ সমান থাকে। এই সময় উত্তর গােলার্ধে শরৎকাল ও দক্ষিণ গােলার্ধে বসন্তকাল বিরাজ করে। ২৩ সেপ্টেম্বরের দেড় মাস আগে থেকেই উত্তর গােলার্ধে শরৎকালের সূচনা হয় এবং দেড় মাস পর পর্যন্ত এই শরৎকাল স্থায়ী থাকে।
৩. উত্তর গােলার্ধে শীতকাল ও দক্ষিণ গােলার্ধে গ্রীষ্মকাল :
২৩ সেপ্টেম্বরের পর দক্ষিণ গােলার্ধ ক্রমশ সূর্যের দিকে হেলতে থাকে। এই সময় দক্ষিণ গােলার্ধ সূর্যের কাছে আসতে থাকে। উত্তর গােলার্ধ দূরে সরতে থাকে। ফলে দক্ষিণ গােলার্ধে সূর্য লম্বভাবে এবং উত্তর গােলার্ধে কোণ করে কিরণ দিতে থাকে। এতে উত্তর গােলার্ধে দিন ছােট ও দক্ষিণ গােলার্ধে দিন বড় এবং রাত ছােট হতে থাকে। এর মধ্যে ২২ এ ডিসেম্বর সূর্য পূর্ব মকরক্রান্তির উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। সেই দিন উত্তর গােলার্ধে ছােট দিন ও বড় রাত হওয়াতে শীতকাল। ঐ দিনই সূর্বের দক্ষিণায়নের শেষ এবং তার পরের দিন থেকে পুনরায় সূর্য উত্তর দিকে আসতে থাকে। ২২ ডিসেম্বরের দেড় মাস পূর্বে উরুর গােলাধে শীতকাল শুরু হয় এবং পরের দেড় মাস পর্যন্ত বিরাজ করে। এই সমটাতে দক্ষিণ গােলার্ধে গ্রীষ্মকাল।
পৃথিবী তার কক্ষপথে চলতে চলতে ২২ ডিসেম্বরের পর থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত এমন স্থানে ফিরে আসে যখন সূর্য নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দিতে থাকে। ফলে ২১ এ মার্চ পৃথিবীর সর্বত্র দিনরাত্রি সমান হয়। দিনের বেলায় সূর্যকিরণের কারণে ভূপৃষ্ঠের বায়ুস্তর গরম হয় এবং রাত্রিবেলায় বিকিরিত হয়ে ঠান্ডা হয়। এই সময় উত্তর গােলার্ধে বসন্তকাল ও দক্ষিণ গােলার্ধে শরৎকাল। ২১ মার্চ পৃথিবীর সর্বত্র দিনরাত্রি সমান হয় এবং ঐ দিনটিকে বাসন্ত বিষুব বা মহাবিষুব বলে।
৪. উত্তর গােলার্ধে বসন্তকাল ও দক্ষিণ গােলার্ধে শরৎকাল 


পৃথিবী তার কক্ষপথে চলতে চলতে ২২ এ ডিসেম্বরের পর থেকে ২১ এ মার্চ পর্যন্ত এমন স্থানে
ফিরে আসে খন সূর্য নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দিতে থাকে। ফলে ২১ এ মার্চ পৃথিবীর সর্বত্র দিনরাত্রি সমান হয়। দিনের বেলায় সূর্যকিরণের কারণে ভূপৃষ্ঠের বায়ুস্তর গরম হয় এবং রাত্রিবেলায় বিকিরিত হয়ে ঠাণ্ডা হয়। এই সময় উত্তর গোলার্ধে বসন্তকাল ও দক্ষিণ গোলার্ধে শরৎকাল হয়। ২১ এ মার্চ পৃথিবীর সর্বত্র দিনরাত্রি সমান হয় এবং ওই দিনটিকে বাসন্ত বিষুব বা মহাবিষুব বলে (চিত্র ২)।
ঘ) বাংলাদেশে বিরাজমান ঋতু : পৃথিবীতে চারটি ঋতু গ্রীষ্মকাল, শরৎকাল, শীতকাল ও বসন্তকাল। সূর্যকে পরিক্রমণকালে পৃথিবীর চারটি অবস্থা থেকে ঋতু পরিবর্তনের ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। এসময় বাংলাদেশে বিরাজমান ঋতু :
১. উত্তর গােলার্ধে গ্রীষ্মকাল ও দক্ষিণ গােলার্ধে শীতকাল :
২১ এ মার্চের পর থেকে পৃথিবী তার নিজ কক্ষপথে এগিয়ে চলার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর মেরু ক্রমশ সূর্যের দিকে হেলতে থাকে। ২১ জুন উত্তর গােলার্ধে বড় দিন এবং ছােট রাত হয়। ঐ দিনই সূর্যের উত্তরায়ণের শেষ এবং তার পরের দিন থেকে পুনরায় সূর্য দক্ষিণ দিকে আসতে থাকে। দিন বড় হওয়ার কারণে উত্তর গােলার্ধে ২১ জুনের দেড় মাস পূর্ব থেকেই গ্রীষ্মকাল শুরু হয় এবং পরে দেড় মাস পর্যন্ত গ্রীষ্মকাল স্থায়ী হয়। বাংলাদেশ যেহেতু উত্তর গােলার্ধে অবস্থিত তাই এ সময়ে বাংলাদেশে গ্রীষ্মকাল বিরাজ করে।
২. উত্তর গােলার্ধে শরৎকাল দক্ষিণ গােলার্ধে বসন্তকাল : 
২১ জুন থেকে দক্ষিণ মেরু সুর্যের দিকে হেলতে থাকে। ২৩ সেপ্টেম্বর পূর্ব নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। তাই এ সময় পৃথিবীর সর্বত্র দিন রাত সমান হয়। এই সময় উত্তর গােলার্ধে শরৎকাল বিরাজ করে। ২৩ সেপ্টেম্বরের দেড় মাস আগে থেকেই উত্তর গােলার্ধে শরৎকালের সূচনা হয় এবং দেড় মাস পর পর্যন্ত এই শরৎকাল স্থায়ী থাকে। বাংলাদেশ যেহেতু উত্তর গােলার্ধে অবস্থিত তাই এ সময়ে বাংলাদেশে শরৎকাল বিরাজ করে।
৩. উত্তর গােলার্ধে শীতকাল ও দক্ষিণ গােলার্ধে গ্রীষ্মকাল :
২৩ সেপ্টেম্বরের পর দক্ষিণ গােলার্ধ ক্রমশ সূর্যের দিকে হেলতে থাকে। উত্তর গােলার্ধে দিন ছােট ও দক্ষিণ গােলার্ধে দিন বড় এবং রাত ছােট হতে থাকে। এর মধ্যে ২২ এ ডিসেম্বর সূর্য পূর্ব মকরক্রান্তির উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। সেই দিন উত্তর গােলার্ধে ছােট দিন ও বড় রাত হওয়াতে শীতকাল। ২২ ডিসেম্বরের দেড় মাস পূর্বে উরুর গােলার্ধে শীতকাল শুরু হয় এবং পরের দেড় মাস পর্যন্ত বিরাজ করে। বাংলাদেশ যেহেতু উত্তর গােলার্ধে অবস্থিত তাই এ সময়ে বাংলাদেশে শীতকাল বিরাজ করে।
৪. উত্তর গােলার্ধে বসন্তকাল ও দক্ষিণ গােলার্ধে শরৎকাল :
পৃথিবী তার কক্ষপথে চলতে চলতে ২২ ডিসেম্বরের পর থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত এমন স্থানে ফিরে আসে যখন সূর্য নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দিতে থাকে। ফলে ২১ এ মার্চ পৃথিবীর সর্বত্র দিনরাত্রি সমান হয়। এই সময় উত্তর গােলার্ধে বসন্তকাল ও দক্ষিণ গােলার্ধে শরৎকাল। বাংলাদেশ যেহেতু উত্তর গােলার্ধে অবস্থিত তাই এ সময়ে বাংলাদেশে বসন্তকাল বিরাজ করে।
সমাপ্ত
পরবর্তী এসাইনমেন্ট আসা মাত্র এখানে দেওয়া হবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *