SSC 2021 History of Bangladesh Assignment Answer All Week (itihas)
SSC 2021 History of Bangladesh Assignment solution (itihas) 1st Chapter
২০২১ সালের এসএসএসি পরিক্ষার্থীদের ১ম সাপ্তাহের বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বিষয়ের ১ম অধ্যায়ের এসাইনমেন্ট
SSC History of Bangladesh Assignment 2021
Assignments have been introduced to cover the short syllabus of those who are going to take the participants in the SSC exam of 2021. Through which the syllabus is covered, i.e. SSC examination of 2021 is expected to be taken in time. Now let’s come to the real thing, let’s see, in the 1st week SSC has given an assignment for 2021. If you look at the newly published SSC 2021 assignment, you can see. Has given the scheduled work of the 1st week assignment on the History of Bangladesh World Civilization.
সমাধান দেখুন –
মানবিক বিভাগের সকল বিষয়ের সব এসাইনমেন্ট এর সমাধান দেখতে ক্লিক করুন
ইতিহাসের সংজ্ঞা
ইতিহাস শব্দটির উৎপত্তি ঘটেছে বাংলা শব্দ থেকে যার অর্থ হচ্ছে ঐতিহ্য। ঐতিহ্য হচ্ছে অতীতের অভ্যাস, শিক্ষা, ভাষা, শিল্প সাহিত্য ও
সংস্কৃতি যেটি ভবিষ্যতের জন্য আমরা সংরক্ষিত করে রাখি। আরে ঐতিহ্যকেই এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয় ইতিহাস। ই এইচ কার এর ভাষায় বলা হয় যে ইতিহাস হলো বর্তমান ও অতীতের মধ্যে অন্তহীন সংলাপ। গ্রিক শব্দ হিস্টোরিয়া থেকে ইংরেজি হিস্ট্রি শব্দটির উৎপত্তি বাংলা প্রতিশব্দ ইতিহাস। হিস্টোরিয়া শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন গ্রিক দার্শনিক হেরোডোটাস। তিনি ইতিহাসের জনক হিসেবে পরিচিত। তিনি সর্বপ্রথম তার গবেষণা কর্মে এই শব্দটি ব্যবহার করেন যার শাব্দিক অর্থ হচ্ছে সত্যানুসন্ধান বা গবেষণা। গ্রীক পারসিক যুদ্ধের সত্যানুসন্ধানে জন্যই তিনি সর্বপ্রথম হিস্টোরিয়া শব্দটির ব্যবহার করে থাকেন।
আধুনিক ইতিহাসের জনক লিওপোল্ড ফন্-র্যাংকে ইতিহাসের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেন যেটি ঘটেছিল তার অনুসন্ধান ও তার স্বত্ব বিবরণী ইতিহাস। তার মতে ইতিহাস মানে হল নগ্ন সুতরাং বলা যায় যে ইতিহাস হচ্ছে মানব সভ্যতার বিবর্তন এর সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিক ও সত্যনিষ্ঠ বিবরণ।
ইতিহাসের বিষয়বস্তু
মানুষ তার সমাজ ও সভ্যতার ধারাবাহিক পরিবর্তনের প্রমাণ ও লিখিত দলিল হলো ইতিহাস। ইতিহাসের বিষয়বস্তু সম্পর্কে আধুনিক ঐতিহাসিকদের মধ্যে ভিকো (VICO) মনে করেন যে, মানব সমাজ ও মানবীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের উৎপত্তি ও বিকাশই হচ্ছে ইতিহাসের বিষয়বস্তু।
সুতরাং, দেখা যাচ্ছে যে, মানুষের গুরুত্বপূর্ণ অর্জন যেটি মানব সমাজ-সভ্যতার উন্নতি ও অগ্রগতিতে অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে তা সবই ইতিহাসভুক্ত বিষয়। যেমন: শিল্প, সাহিত্য-সংস্কৃতি, দর্শন, স্থাপত্য, রাজনীতি, যুদ্ধ ধর্ম, আইন- সামগ্রিকভাবে যেটি কিছু সমাজ-সভ্যতা বিকাশে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করেছে তাই ইতিহাসের বিষয়বস্ত
ইতিহাসের পরিসর
মানুষ কর্তৃক সম্পাদিত সকল বিষয় ইতিহাসের পরিসরের আওতাভুক্ত। মানুষের চিন্তা-ভাবনা, পরিকল্পনা, কার্যক্রম যতো শাখা-প্রশাখায় বিস্তৃত, ইতিহাসের সীমা ততদূর পর্যন্ত বিস্ভৃত। তবে এ বিস্তৃতির সীমা স্থিতিশীল নয়। মানুষের চিন্তা-ভাবনা, কল্পনাধারা পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাসের পরিসরও সম্প্রসারিত হচ্ছে। যেমন-প্রাগৈতিহাসিক যুগের প্রথম পর্বের মানুষের কর্মকাণ্ড খাদ্য সংগ্রহের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। উৎপাদন কৌশল তখনও তাদের অজানা ছিল। ফলে সে সময় ইতিহাসের পরিসরও খাদ্য সংগ্রহমূলক কর্মকাণ্ড পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। সময়ের বিবর্তনে, সভ্যতার অগ্রগতির কারণে মানুষের কর্মকাণ্ডের পরিধি বেড়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাস চর্চায়-গবেষণায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিও অনুসৃত হচ্ছে। ফলে ইতিহাস বিষয়ে শাখা-প্রশাখার সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে, বিস্তৃত হচ্ছে ইতিহাসের সীমানাও। উনিশ শতকে শুধুমাত্র রাজনীতি ইতিহাসের বিষয় হলেও মার্কসবাদ প্রচারের পর অর্থনীতি, সমাজ, শিল্পকলার ইতিহাসও রচিত হতে থাকে। এভাবে একের পর এক বিষয় ইতিহাসভুক্ত হচ্ছে আর সমপ্রসারিত হচ্ছে ইতিহাসের পরিসর।
ইতিহাস পাঠের প্রয়োজনীয়তা:
মানবসমাজ ও সভ্যতার বিবর্তনের সত্য নির্ভর বিবরণ হচ্ছে ইতিহাস। যে কারণে জ্ঞানচর্চার শাখা হিসেবে ইতিহাসের গুরুত্ব অসীম। ইতিহাস পাঠ মানুষকে অতীতের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান অবস্থা বুঝতে, ভবিষ্যৎ অনুধাবন করতে সাহায্য করে। ইতিহাস পাঠের ফলে মানুষের পক্ষে নিজের ও নিজদেশ সম্পর্কে মঙ্গল-অমঙ্গলের পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব। সুতরাং দেশ ও জাতির স্বার্থে এবং ব্যক্তি প্রয়োজনে ইতিহাস পাঠ অত্যন্ত জরুরি।
জ্ঞান ও আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি করে
অতীতের সত্যনিষ্ঠ বর্ণনা মানুষের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আর এ বিবরণ যদি হয় নিজ দেশ, জাতির সফল সংগ্রাম, গৌরবময় ঐতিহ্যের তাহলে তা মানুষকে দেশপ্রেমে উদৃবুদ্ধ করে। একই সঙ্গে
আত্মপ্রত্যয়ী, আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করে। সে ক্ষেত্রে জাতীয়তাবোধ, জাতীয় সংহতি সুদৃঢ়করুনণে ইতিহাস পাঠের বিকল্প নেই।
সচেতনা বৃদ্ধি করে :
ইতিহাস জ্ঞান মানুষকে সচেতন করে তোলে। বিভিন্ন মানবগোষ্ঠীর উত্থান-পতন এবং সভ্যতার বিকাশও পতনের কারণগুলো জানতে পারা যায়।
সমাপ্ত
মানবিক বিভাগের সকল বিষয়ের সব এসাইনমেন্ট এর সমাধান দেখতে ক্লিক করুন
Assignment Answer More Subject
Science Group Assignment All Week
Business Group Assignment All Week
Humanities Group Assignment All Week
আশাকরছি সবাই বুঝতে পেরেছো। নিয়মিত আপডেট পেতে হলে Helping Easy Tube এর সঙ্গে থাকুন। ধন্যবাদ।
বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বিষয়ের ২য় অধ্যায়ের ২য় সাপ্তাহের এসাইনমেন্টর সমাধান –
SSC 2021 History of Bangladesh Assignment solution (itihas) 2nd Part
SSC History of Bangladesh Assignment 2nd week 2021
Assignments have been introduced to cover the short syllabus of those who are going to take the participants in the SSC exam of 2021. Through which the syllabus is covered, i.e. SSC examination of 2021 is expected to be taken in time. Now let’s come to the real thing, let’s see, in the 1st week SSC has given an assignment for 2021. If you look at the newly published SSC 2021 assignment, you can see. Has given the scheduled work of the 2nd week assignment on the History of Bangladesh World Civilization.
সমাধান দেখুন –
পটভূমি : সিন্ধুনদের অববাহিকা অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল বলে এই সভ্যতার নাম রাখা হয় সিন্ধু সভ্যতা। সিন্ধু সভ্যতার নাম সিন্ধু সভ্যতা হলেও এর বিস্তৃতি ছিল বিশাল এলাকা জুড়ে। মহেঞ্জোদারাে ও হরপ্পাতে এই সভ্যতার নিদর্শন সবচেয়ে বেশি আবিষ্কৃত হয়েছে। তা সত্ত্বেও ঐ সভ্যতা শুধু সিন্ধু নদীর অববাহিকা বা ঐ দুটি শহরের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। পাকিস্তানের পাঞ্জাব, সিন্ধু প্রদেশ, ভারতের পাঞ্জাব, রাজস্থান, গুজরাটের বিভিন্ন অংশে এই সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া গেছে। ঐতিহাসিকরা মনে করেন যে পাঞ্জাব থেকে আরব সাগর পর্যন্ত বিস্তীর্ণ ভৌগােলিক এলাকা জুড়ে সিন্ধু সভ্যতা গড়ে উঠেছিল।
সময়কাল : সিন্ধু সভ্যতার সময়কাল সম্পর্কে ঐতিহাসিকদের মধ্যে বিভিন্ন মতভেদ রয়েছে। পণ্ডিতগণের মতে, খ্রিষ্টপূর্ব ৩৫০০ অব্দ থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ১৫০০ অব্দ পর্যন্ত এ সভ্যতার উত্থান-পতনের কাল। ঐতিহাসিকরা মনে করেন, আর্য জাতির আক্রমণের ফলে খ্রিষ্টাব্দপূর্ব ১৫০০ অথবা ১৪০০ অব্দে সিন্ধু সভ্যতার অবসান ঘটে। তবে সিন্ধু সভ্যতা ধ্বংসের সম্পর্কেও ভিন্ন মতও রয়েছে। মর্টিমার হুইলার মনে করেন,এই সভ্যতার সময়কাল হচ্ছে খ্রিষ্টপূর্ব ২৫০০ থেকে খ্রিষ্ট পূর্ব ১৫০০ অব্দ পর্যন্ত।
রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থা : সিন্ধু সভ্যতার জনগণের রাজনৈতিক জীবন ও শাসনপ্রণালি সম্পর্কে কিছুই জানা যায় না। মহেঞ্জোদারাে হরপ্পার নগর বিন্যাস প্রায় একই রকম ছিল।এগুলাের ধ্বংসাবশেষ দেখে নিশ্চিতভাবে বােঝা যায় যে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী উঁচু ভিতের উপর শহরগুলাে নির্মাণ করা হয়েছিল। শহরগুলাের এক পাশে উঁচু ভিত্তির উপর একটি করে নগরদুর্গ নির্মাণ করা হতাে। চারদিক থাকত প্রাচীর দ্বারা সুরক্ষিত। নগরের শাসনকর্তারা নগর দুর্গে বসবাস করতেন। প্রশাসনিক বাড়িঘরও দুর্গের মধ্যে ছিল। নগরের ছিল প্রবেশদ্বার।
দুর্গ বা বিরাট অট্টালিকা দেখে মনে হয় একই ধরনের। কেন্দ্রীভূত শাসনব্যবস্থা যুগ যুগ ধরে নগর দুটিতে প্রচলিত ছিল।এই প্রশাসন জনগণের জীবনযাত্রা নিয়ন্ত্রণ করত। সিন্ধু সভ্যতার যুগে মানুষ সমাজবদ্ধ পরিবেশে বসবাস করত।সেখানে একক পরিবার পদ্ধতি চালু ছিল। সিন্ধু সভ্যতার যুগে সমাজে শ্রেণীবিভাগ ছিল। সব লােক সমান সুযােগ-সুবিধা পেত না। সমাজ ধনী ও দরিদ্র দুই শ্রেণিতে বিভক্ত ছিল। কৃষকেরা গ্রামে বসবাস করত। শহরে ধনী এবং শ্রমিকদের জন্য আলাদা-আলাদা বাসস্থানের নিদর্শন পাওয়া গেছে।
পােশাক : পরিচ্ছদের জন্য তারা মূলত সুতা ও পশম ব্যবহার করত। সিন্ধু সভ্যতার সমাজব্যবস্থা ছিল মাতৃতান্ত্রিক। মহিলারা খুবই শৌখিন ছিল। তাদের প্রিয় অলংকারের মধ্যে ছিল হার, বালা, আংটি, দুল, বিছা, বাজুবন্ধ চুড়ি, বালা, পায়ের মল ইত্যাদি। তারা নকশা করা দীর্ঘ পােশাক পরত, ব্যবহার করত। ফজের পুরুষরাও অলংকার।
অর্থনৈতিক অবস্থা : সিন্ধু সভ্যতার অর্থনীতি ছিল মূলত কৃষি এবং উৎপন্ন ফসলের উপর নির্ভরশীল। তাছাড়া অর্থনীতির আর একটি বড় দিক ছিল পশুপালন। কৃষি ও পশুপালনের পাশাপাশি মৃৎপাত্র নির্মাণ ধাতুশিল্প, বয়নশিল্প, অলংকার নির্মাণ, পাথরের কাজ ইত্যাদিতেও তারা যথেষ্ট উন্নতি লাভ করেছিল। এই উন্নতমানের শিল্প পণ্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সিন্ধু সভ্যতার বণিকরা বিদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক যােগাযােগ রক্ষা করে চলত। বণিকদের সাথে আফগানিস্তান, বেলুচিস্তান, মধ্য এশিয়া, পারস্য, মেসােপটেমিয়া, দক্ষিণ ভারত, রাজপুতনা, গুজরাট প্রভৃতি দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক যােগাযােগ ছিল।
সিন্ধু সভ্যতার অবদান : পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতাগুলাের মধ্যে একটি হচ্ছে। সিন্ধু সভ্যতা। নিম্নে এই সভ্যতার অবদান আলােচনা করা হলাে।
নগর পরিকল্পনা : সিন্ধু সভ্যতার এলাকায় তার মধ্যে হরপ্পা ও মহেঞ্জোহর আবিস্কৃত হয়েছে। বড় শহর। ঘরবাড়ি সবই পােড়া মাটির বা রােদে পােড়ানাে ইট দিয়ে তৈরি। শহরগুলাের বাড়িঘরের নকশা থেকে সহজেই বােঝা যায় যে সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীরা উন্নত ধরনের নাগরিক সভ্যতায় ভাস ছিল। হরপা ও মহেঞ্জোদারাের নগর পরিকল্পনা একই রকম ছিল। নগরীর ভেতর দিয়ে চলে গেছে পাকা রাস্তা রাস্তাগুলাে ছিল সােজা। প্রত্যেকটি বাড়িতে খােলা জায়গা, কূপ ও স্নানাগার ছিল। জল নিষ্কাশনের জন্যে ছােট ছােট নর্দমা সংযুক্ত করা হতাে মূল নর্দমা বা পয়ঃপ্রণালির সাথে রাস্তাঘাট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা হতাে। পথের ধারে ছিল সারিবদ্ধ ল্যাম্পপােস্ট।
শিল্প : সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীদের শিল্প সম্পর্কে আলােচনা করতে গেলে প্রথমেই মৃৎশিল্পের কথা বলতে হয়। তারা কুমারের চাকার ব্যবহার জানত এবং সাহায্যে সুন্দর মাটির পাত্র বানাতে পারত। পাত্রও গায়ে অনেক সময় সুন্দর সুন্দর নকশা আঁৰ থাকত। তাঁতিরা ধাতুর সাহায্যে আসবাবপত্র, অস্ত্র এবং অলংকার তৈরির করা হতাে। তারা তামা ও বয়নশিল্পে পারদশ’স্পোদিস ও ফ্রি টিনের মিশ্রণে ব্রোঞ্জ তৈরি করতে শিখেছিল। কারিগররা রূপা, তামা, ব্রোঞ্জ প্রভৃতির তৈজসপত্র তৈরি করত।
তাছাড়া সােনা, রূপা, তামা ইলক্ট্রাম ও ব্রোঞ্জ ইত্যাদি ধাতুর অলংকার তৈরিতে তারা পারদর্শী ছিল। অলংকারের মধ্যে আংটি, বালা, নাকফুল, গলার হার, কানের দুল, বাজুবন্দ ইত্যাদি ছিল উল্লেখযােগ্য। সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীরা লােহার ব্যবহার জানত না।ধাতু ছাড়া দামি পাথরের সাহায্যে অলংকার নির্মাণ শিল্পেরও বিকাশ ঘটে। হাতির দাঁতসহ অন্যান্য হস্তশিল্পেরও দক্ষ কারিগর ছিল।
স্থাপত্য ও ভাস্কর্য : সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ এবং চমৎকার স্থাপত্য শৈলীর নিদর্শন রেখে গেছে। সেখানে দুই কক্ষ থেকে পঁচিশ কক্ষের বাড়ির সন্ধানও পাওয়া গেছে। আবার কোথাও দুই তিন তলা ঘরের অস্তিত্ব আবিস্কৃত হয়েছে। মহেঞ্জোদারাের স্থাপত্যের উল্লেখযােগ্য উদাহরণ হলাে ‘বৃহৎ মিলনায়তন’ যে মিলনায়তনটির ৮০ ফুট জায়গা জুড়ে তৈরি হয়েছিল।তাছাড়া বিরাট এক প্রাসাদের সন্ধান পাওয়া গেছে। হরপ্পাতে বিরাট আকারের শস্যাগারও পাওয়া গেছে। মেহেঞ্জোদারােতে একটি বৃহৎ স্নানাগার’-এর নিদর্শন পাওয়া গেছে যার মাঝখানে বিশাল চৌবাচ্চাটি ছিল সাঁতার কাটার উপযােগী।ভাস্কর্যশিল্পেও সিন্ধু সভ্যতার অধিবাসীদের দক্ষতা ছিল। পাথরে খােদিত ভাস্কর্যের সংখ্যা কম হলেও সেগুলাের শৈল্পিক ও কারিগরি দক্ষতা ছিল উল্লেখ করার মতাে। এ যুগে মােট ১৩টি ভাস্কর্য মূর্তি পাওয়া গেছে। চুনাপাথরে তৈরি একটি শক্তিমাখা পাওয়া গেছে।
সিন্ধু সভ্যতার নগরায়ন শিল্প, ভাস্কর্য ও স্থাপত্যের সাথে আমার গ্রামের নগরায়ন শিল্প ও ভাস্কর্যের সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য নিম্নে তুলে ধরা হলাে:
নগরায়ন : সিন্ধু সভ্যতায় ছিল পােড়ামাটির তৈরি ঘর কিন্তু বর্তমানে আমার গ্রামের বাড়ীঘরগুলাে পাকা বিল্ডিং ও বাঁশের তৈরি। সিন্ধু সভ্যতায় রাস্তায় বাতির খুটি লক্ষ্য করা গেছিল আমার গ্রামে ও রাস্তায় বাতি দেওয়া হয়েছে। আর চারিদিকে দেওয়াল করা নেই সিন্ধু সভ্যতায় কিন্তু হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারাের চারিদিকে দেওয়াল করা ছিল।
শিল্প : সিন্ধু সভ্যতায় পােড়ামাটির ফলক তৈরি করা হয় মাটি দিয়ে এবং মৃত শিল্প তৈরি করা হতে দেখা গেছে। তবে আমাদের গ্রামে এ ধরনের মৃৎশিল্প প্রায় উঠে গেছে। এখন বড় বড় কলকারখানা, দোকানপাট লক্ষ্য করা যায়। সিন্ধু সভ্যতায় তামা ও ব্রোঞ্জ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের অলংকার সামগ্রী তৈরি করা হয়েছিল। বর্তমানে আমাদের সমাজে তামা ও ব্রোঞ্জ এর প্রচলন খুবই কম। এখন স্বর্ণ রূপা তৈরি জিনিস ছাড়া সমাজের মানুষের চলেই না।